Advertisement
Advertisement
Himachal Pradesh Assembly Election

হিমাচলে নির্বিঘ্নে শুরু ভোটগ্রহণ, ভোটারদের কাছে নতুন রেকর্ড গড়ার আরজি প্রধানমন্ত্রীর

সরকার বদলের ট্রেন্ড বদলানোই চ্যালেঞ্জ বিজেপির কাছে।

Himachal Pradesh Assembly Election 2022: PM Modi exhorts voters to come out in large numbers | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:November 12, 2022 10:05 am
  • Updated:November 12, 2022 10:06 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বিঘ্নেই শুরু হল হিমাচলপ্রদেশের ৬৮ আসনের ভোটগ্রহণ। শনিবার সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলিতে উৎসাহী ভোটারদের ভিড় রীতিমতো চোখে পড়ার মতো। এবারে হিমাচলের (Himachal Pradesh) ভোটার সংখ্যা প্রায় ৫৫ লক্ষ। ভোটের ফল ঘোষণা ৮ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণের ২৬ দিন পর প্রবল ঠান্ডার সময় ভোটগণনা হবে পাহাড়ি রাজ্যটিতে।

এদিন সকালেই ভোটারদের রেকর্ড হারে ভোটদানের আরজি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তিনি টুইটে বলছেন,”হিমাচলের ৬৮টি আসনে আজ ভোটগ্রহণ। দেবভূমির সকল ভোটারের কাছে আমার আবেদন, রেকর্ড সংখ্যায় ভোট দিন। আর ভোটদানের নয়া রেকর্ড গড়ুন। যারা এবার প্রথমবার ভোট দেবে, সেইসব তরুণ ভোটারদের আমার বিশেষ শুভেচ্ছা।” সাতসকালে টুইট করে ভোটারদের রেকর্ড হারে ভোটদানের আরজি জানিয়েছেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরও। সেই সঙ্গে হিমাচলের মানুষের কাছে আরও একটি সুযোগ চেয়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ভারতীয় পড়ুয়ারা পড়াশোনা শেষ করুক রাশিয়ায়, ‘বন্ধু’ ভারতকে প্রস্তাব মস্কোর]

প্রটোকল মেনে ভোটের দিন সকালে রাজনীতির কথা না বললেও প্রচারপর্বের শেষ হিমাচলবাসীর উদ্দেশে একটি আবেগঘন খোলা চিঠি লেখেন মোদি। শুক্রবার পর্যন্ত মোদির সেই চিঠি ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন সেরাজ্যের বিজেপি কর্মীরা। চিঠিতে মোদি বলেন, “হিমাচলের উন্নয়ন হিমালয়ের শিখরে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। তাই রাজ্যের প্রতিটি মানুষ পদ্মচিহ্নে ভোট দিয়ে উন্নয়নকে তরান্বিত করুন। হিমাচলকে সেবা করার যে সুযোগ পেয়েছি তার জন্য আমি ঋণী। এই জীবনে সেই ঋণ শোধ করে যেতে চাই। রাজ্যের মানুষের সমর্থন আগেও পেয়েছি। এবারও পাব। তাই প্রতিটি ভোটারকে আগাম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’ উত্তর ভারতের এই পাহাড়ি রাজ্যে এবার যথেষ্ট চাপে রয়েছে বিজেপি। তাই শেষ মুহূর্তে মোদিকে দিয়ে মরণকামড় দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির, মত রাজনৈতিক মহলের। আগেও বিভিন্ন রাজে্য ভোটের আগে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মোদিকে ব্যবহার করেছে বিজেপি। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। তবে মোদির ভাবমূর্তি ব্যবহার করেও বিজেপি কতটা সুবিধা করতে পারবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে দলের অন্দরেই। কারণ পাহাড়ি এই রাজ্যটিতে গত ৪ দশক ধরে ৫ বছর অন্তর অন্তর সরকার বদলের পরম্পরা চলে আসছে। সেটা বদলে দেওয়ায় বিজেপির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

[আরও পড়ুন: মুক্তি পেয়ে গেল রাজীব হত্যায় দোষী নলিনী-সহ ৬, সাজা মকুব সুপ্রিম কোর্টের]

উল্লেখ্য, ৬৮ আসন বিশিষ্ট হিমাচলপ্রদেশ বিধানসভায় ২০১৭ সালের নির্বাচনে বিজেপি (BJP) পেয়েছিল ৪৩টি আসন। আর কংগ্রেসের হাতে ছিল ২২টি আসন। ২০১৭ নির্বাচনের পর হিমাচল কংগ্রেসের (Congress) প্রবীণ এবং সবচেয়ে হেভিওয়েট নেতা বীরভদ্র সিং প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে কংগ্রেস অনেকটাই ছন্নছাড়া। দল ছেড়েছেন বহু নেতা। তবু বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা এবং উপনির্বাচনে ভাল ফলকে ব্যবহার করে নিজেদের পালে হাওয়া লাগাতে চাইছে কংগ্রেস। আবার বিজেপির অন্দরে জেপি নাড্ডা, মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও বেশ চর্চিত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ