সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাস (Coronavirus)কী? কোথা থেকে এই ভাইরাসের আগমন? এই প্রশ্ন মুখে মুখে ফিরেছে সকলের। এবার এই ভাইরাসের আসল পরিচয় দিতে আসরে নামল হিন্দু মহাসভা(Hindu Mahasabha)। এই ভাইরাস নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেও বিজ্ঞানীদের হাতে অধরা থেকে গেছে সমাধান সূত্র। তবে হিন্দু মহাসভার তরফ থেকে দাবি করা হল, ‘করোনা ভাইরাস আসলে ভাইরাস নয় এটা হল বিষ্ণুর অবতার।আমিষাশীদের শাস্তি দিতে ও ক্ষুদ্র প্রাণের রক্ষার্থেই এই ভাইরাসের পৃথিবীতে আগমন।’ হিন্দু মহাসভার সভাপতি স্বামী চক্রপাণি বলেন, ‘করোনা ভাইরাস পৃথিবীতে এসেছে কিছু বার্তা দিতে। যারা পৃথিবীর ক্ষুদ্র প্রাণগুলিকে খাওয়ার জন্য মেরে ফেলছে, তাদের মৃত্যুর মত চরম শাস্তি দিতেই করোনা ভাইরাসের আগমন হয়েছে।’
শুনে অবাক হলেও হিন্দু মহাসভার সভাপতি স্বামী চক্রপাণির দাবি, “ভগবান নরসিংহ অবতারে এসেছিলেন রাক্ষসদের ধ্বংস করতে ও শিক্ষা দিতে। চিনাদের এর থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ।” মহামারির হাত থেকে রক্ষা পেতে চিনাদের জন্য একটা রাস্তাও বাতলে দিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে,”চিনা প্রেসিডেন্ট শিং জিনপিংয়ের উচিৎ করোনা ভাইরাসের একটি মূর্তি নির্মাণ করা ও তার কাছে ক্ষমা চাওয়া। চিনে আমিষভোজী সব ব্যক্তিদের দিয়ে ক্ষমা চাওয়ানো। এবং ক্ষুদ্র প্রাণদের হত্য না করার প্রতিজ্ঞা করানো।’ এসব বলেও ক্ষান্ত হননি স্বামী চক্রপাণি। তিনি আরও বলেন, ‘একমাত্র এই কাজ করলেই করোনা ভাইরাস রূপে পৃথিবীতে নেমে আসা এই অবতার পুনরায় তার নিজের জগতে ফিরে যাবে।’
[আরও পড়ুন: শীর্ষ নেতাদের চাপেও দমছেন না সিন্ধিয়া, ফের কমলনাথের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামার হুমকি]
হিন্দু মহাসভার সভাপতি অবশ্য দাবি করেন, ভারতীয়দের এই করোনা ভাইরাসে আক্রমণের সম্ভাবনা খুবই কম,”কারণ, ভারতীয়রা ভগবানের প্রতি আস্থা রাখেন, তারা পূজা-অর্চনা করেন, গো হত্যার বিরোধী তারা। ফলে আপনা হতেই ভারতীয়দের একটি স্বয়ং প্রতিরোধ শক্তি গড়ে উঠেছে।” তবে এই ধরণের অবিশ্বাস্য মন্তব্য শুধুমাত্র হিন্দু মহাসভার সভাপতিই যে করেছেন তা নয়। এর আগে এক মুসলিম ধর্মগুরুও দাবি করেছিলেন, চিনে মুসলিমদের ওপর অত্যাচার বেড়ে যাওয়ায় অভিশাপ হিসেবে এই ভাইরাস নেমে এসেছে।