Advertisement
Advertisement

Breaking News

কাশ্মীর

রাজ্যের মর্যাদা খোয়াচ্ছে ভূস্বর্গ, ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হচ্ছে উপত্যকাকে

এই সিদ্ধান্তের ফলে কাশ্মীরে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ থাকবে নয়াদিল্লির।

Historic decision, Jammu and Kashmir ceases to be a state
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 5, 2019 11:59 am
  • Updated:August 6, 2019 8:46 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে বাতিল করা হল বিতর্কিত ৩৭০ ধারা। রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির সই করা গেজেট নোটিফিকেশন পাঠ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়ে দিলেন কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যের মর্যাদাও হারাল কাশ্মীর। জম্মু ও কাশ্মীরকে দু’ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর মিলিয়ে একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল অন্যদিকে লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদিও এই পুনর্বিন্যাসের জন্য বিল এনে ভোটাভুটি করতে হবে৷

[আরও পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক মোদি-শাহর, রাজধানীর অলিন্দে তুঙ্গে জল্পনা]

সোমবার, তুমুল জল্পনার শেষে রাজ্যসভায় বিতর্কিত ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা বাতিল করার প্রস্তাব করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। বিরোধীদের প্রবল বিরোধিতা ও হট্টগোলের মধ্যে বিতর্কিত ধারাটিকে বাতিল করতে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করা হয়। প্রস্তাবটি কাশ্মীর সংরক্ষণ বিল নামে একটি বিল আকারে পেশ করা হয়। এই প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতি সইও করেন। এরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেন কাশ্মীরের অঙ্গরাজ্যের মর্যাদাও ছিনিয়ে নেওয়া হল। এবং উপত্যকাকে দু’টি ভাগে ভাগ করে দেওয়া হল। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী লাদাখে কোনও বিধানসভা থাকছে না। অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরে পৃথক বিধানসভা থাকলেও, স্থানীয় সরকারের হাতে নিরাপত্তা বা আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব থাকবে কেন্দ্রের উপরই। ফলে, জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের হাতে আর্থিক ক্ষমতা ছাড়া অন্য কোনও ক্ষমতাই কার্যত থাকবে না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অমিত শাহর প্রস্তাবে সই রাষ্ট্রপতির, বাতিল কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা]

কদিন আগে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা ছড়িয়েছিল কাশ্মীরকে ৩ ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে। সেই জল্পনাই কার্যত সত্যি হল। কাশ্মীরকে ৩ ভাগে ভাগ করা না হলেও দুটি পৃথকভাগে ভাগ করে দেওয়া হল। ফলে, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ সরাসরি নয়াদিল্লির হাতে থাকবে। যা এককথায় ঐতিহাসিক। সীমান্তে উত্তেজনার পাশাপাশি এই সিদ্ধান্তের ফলে অভ্যন্তরের জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণেও অনেকটাই সুবিধা হবে কেন্দ্রীয় সরকারের। জঙ্গি নিয়ন্ত্রণের জন্য আর কাশ্মীর সরকারের মুখাপেক্ষী থাকতে হবে না।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ