Advertisement
Advertisement

গেরুয়া ঘেঁষা রাজনীতি ছাড়লে জোট সম্ভব, রজনীকে বার্তা কমলের

রাজনীতি আর বন্ধুত্ব আলাদা। সাফ কথা দক্ষিণী অভিনেতার।

Hope Rajinikanth's Colour Isn't Saffron: Kamal Haasan
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 11, 2018 11:36 am
  • Updated:February 11, 2018 11:36 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাক্ষিণাত্যের রাজনীতি এই মুহূর্তে এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। রাজনীতির ময়দানে পা রাখছেন রুপোলি পর্দার দুই মহাতারকা। একজন রজনীকান্ত। যিনি নিজের দল ঘোষণা করে দিয়েছেন। অন্যজন কমল হাসান। তিনিও রাজনীতিতে শামিল হবেন। তবে কি দুই তারকা একজোট হবেন? এবার তা খানিকটা ভাঙলেন কমল।

আধার না থাকলেও জরুরি পরিষেবায় বঞ্চিত নয়, জানাল UIDAI ]

Advertisement

নামে কমল। কিন্তু পদ্ম শিবিরের প্রতি তাঁর কোনও অনুরাগ নেই। দক্ষিণের রাজনীতি এই মুহূর্তে যে জায়গায় দাঁড়িয়ে, তাতে গোটা দেশের কাছে হেয় হতে হচ্ছে দাক্ষিণাত্যকে। জয়ললিতার প্রয়াণের পর রাজনীতিতে কর্তৃত্বই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ঘরের মধ্যেই শুরু হয়েছে তীব্র লড়াই। একদিকে দুর্নীতির দায়ে জেলে শশীকলা। অন্যদিকে পালানিস্বামী ও পন্নিরসেলভম শিবিরের টানাটানি। ফলে রাজনীতি হচ্ছে স্রেফ রাজনীতির কারণেই। সেখানে মানুষ যেন ব্রাত্য। ঠিক এই জায়গা থেকেই হাল ধরতে চান কমল ও রজনীকান্ত। দল ঘোষণার দিনই রজনীকান্ত জানিয়েছিলেন, এই মশকরার জায়গা থেকে দক্ষিণের উত্তরণ চান তিনি। একইভাবে পরিবর্তনের ডাক কমলেরও। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি দুই তারকা একজোট হয়েই পরিবর্তন আনবেন? এ ব্যাপারে রজনীকান্ত অবশ্য ধোঁয়াশা জারি রেখেছিলেন। বলেছিলেন, সময়েই এর উত্তর মিলবে। আর কমল জানিয়েছিলেন, এ তো কোনও ছবির কাস্টিং নয়। ফলে বোঝা গিয়েছিল, দু’জনে অনেক বুঝেশুনেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চান।

Advertisement

আধার না থাকায় প্রসূতিকে ফেরাল হাসপাতাল, গেটের সামনেই প্রসব ]

সম্প্রতি নিজের মনের কথা খোলসা করলেন কমল। জোট যে হতে পারে তার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন টুইটারে। তবে একটা শর্তে। কমলের ধারণা, রজনীর রাজনীতি খানিকটা গেরুয়াঘেঁষা। সেই রং না বদলালে রজনীর সঙ্গে জোটে থাকতে চান না কমল।  অর্থাৎ রজনী যদি গেরুয়ারহিত হয়ে নিজের রাজনীতি করেন, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে দুই অভিনেতাকে একজোট হয়েই ভোটের ময়দানে লড়তে দেখা যেতে পারে। পাশাপাশি রজনী মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁরা ভাল বন্ধু হলেও রাজনীতিতে কোনও বন্ধুত্ব নেই।

পরীক্ষায় বসেছে পড়ুয়ারা, অথচ নেতা-মন্ত্রীর মনোরঞ্জনে স্কুলে চটুল নাচ ]

দক্ষিণের রাজনীতিতে বদলের হাওয়া আনতে তরুণদেরই বেশি করে চাইছেন কমল। তাঁর দাবি, যেভাবে মধ্যমেধা তামিলনাড়ুকে ছেয়ে ফেলেছে তা দূর হোক। এরকম চলতে থাকলে জঘন্য যে কোনও কিছুই গ্রহণযোগ্য হবে। তাতে আখেরে ক্ষতি হবে দেশের। এই মুহূর্তে রাজনীতিতে স্বচ্ছতা আনতে তরুণদেরই বেশি করে দরকার বলে মনে করেন অভিনেতা। আন্তর্জাতিক রাজনীতির হাল হকিকত জেনেই এরকম সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তিনি। সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগা আর পালটা রাজনীতির ফয়দা না তুলে, দক্ষিণের রাজনীতিতে সদর্থক ভূমিকাই নিতে চাইছেন কমল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ