Advertisement
Advertisement

Breaking News

পোখরিয়াল

‘জ্যোতিষবিদ্যা বিজ্ঞানের চেয়ে এগিয়ে’, সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন মোদি সরকারের নয়া মন্ত্রী

প্রশ্ন রয়েছে পোখরিয়ালের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও।

HRD Minister find himself in fake degree controversy
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 1, 2019 1:50 pm
  • Updated:June 1, 2019 4:49 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদি সরকার ২.০-র মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী হয়েছেন রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের হাতেই থাকে শিক্ষা বিভাগের দায়িত্ব। প্রকারান্তরে শিক্ষামন্ত্রীই নির্বাচিত হয়েছেন হরিদ্বারের বিজেপি সাংসদ। প্রকাশ জাভড়েকরের হাত থেকে শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি। কিন্তু, যিনি শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব নিচ্ছেন তাঁর নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। নামের আগে ডক্টর শব্দটি ব্যবহার করেন রমেশ পোখরিয়াল। তাঁর দাবি, শ্রীলঙ্কার ওপেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তাঁকে জোড়া ডক্টরেট খেতাব দিয়েছে।যদিও, ওই নামে শ্রীলঙ্কায় কোনও রেজিস্টার্ড বিশ্ববিদ্যালয় নেই বলে দাবি একাধিক সংবাদমাধ্যমের। পোখরিয়ালকে ঘিরে বিতর্ক অবশ্য নতুন কিছু নয়। বিগত সরকার থাকাকালীন সংসদে তাঁর একটি বক্তব্য নিয়ে বেজায় শোরগোল পড়েছিল। সংসদে দাঁড়িয়েই পোখরিয়াল মন্তব্য করেন, জ্যোতিষবিদ্যা বিজ্ঞানের চেয়ে এগিয়ে। যা নিয়ে রীতিমতো হাসির রোল পড়ে যায়।

[আরও পড়ুন: বিপ্লবের কোপে ছাটাই সুদীপ, ত্রিপুরা বিজেপিতে বড়সড় ভাঙনের ইঙ্গিত]

কী এমন বলেছিলেন পোখরিয়াল? লোকসভায় ‘দ্য স্কুল অব প্ল্যানিং অ্যান্ড আর্কিটেকচার’ বিল নিয়ে বিতর্ক চলছিল। আলোচনায় তৎকালীন সাংসদ নিশাঙ্ক বলেছিলেন, “জ্যোতিষচর্চার কাছে বিজ্ঞান কিছুই নয়, তুচ্ছ ব্যাপার! জ্যোতিষচর্চাই হল সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান। বিজ্ঞানের থেকেও এটা বড় বিষয়। আমাদের সত্যিই বিষয়টি নিয়ে প্রচার করা উচিত।” তিনি আরও বলেছিলেন, “আমরা আজকাল পরমাণু বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করি। কিন্তু লক্ষ বছর আগেই কণাদ পরমাণু পরীক্ষা করেছিলেন। অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জ্ঞানও অনেক দিন আগে থেকে রয়েছে আমাদের।” আসলে শিক্ষা এবং কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নিশাঙ্ক। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর মজ্জাগত সনাতনী ভাবধারা। সেই ভাবধারা থেকেই হয়তো জ্যোতিষকে বিজ্ঞানের থেকে এগিয়ে রেখেছিলেন মন্ত্রীমশাই। তা নিয়ে সেসময় বেশ খোরাকও হয়েছিলেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বড়সড় সংস্কারের ভাবনা মোদি সরকার ২.০-র, বন্ধ হতে পারে ৪২টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা!]

কিন্তু প্রশ্ন হল, এ হেন এক ব্যক্তিকে কেন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হল? অনেকে অভিযোগ করছেন, আরএসএস-বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষাব্যবস্থার গৈরিকিকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। পোখরিয়ালের নিযুক্তি তারই একটি ধাপ। যদিও, বিজেপি শিবির সেসব দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। দায়িত্বে নিয়েই বেশ কয়েকটি নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে পোখরিয়ালকে। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি গঠন থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগ, আগামী এক বছরের মধ্যে একের পর এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে তাঁকে। সেজন্য প্রয়োজন রাজ্যের সরকারগুলির সঙ্গে সমন্বয় সাধন। সেই কাজটি পোখরিয়াল কতটা তৎপরতার সঙ্গে করেন সেটাই এখন দেখার।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ