Advertisement
Advertisement
হায়দরাবাদ গণধর্ষণ

ACP’র গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হায়দরাবাদ গণধর্ষণে অভিযুক্তের বাবা, ভরতি হাসপাতালে

দুর্ঘটনা নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কিছু তা নিয়ে জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে।

Hyderabad gangrape accused father hit by car in Narayanpet
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 28, 2019 8:54 am
  • Updated:December 28, 2019 8:56 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনার শিকার হায়দরাবাদ গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এক অভিযুক্তের বাবা। বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণপেট জেলায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এসিপি’র ব্যক্তিগত গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর চোট পেয়েছেন অভিযুক্তের বাবা। বর্তমানে নিজামস ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে ভরতি রয়েছেন তিনি। নিছকই দুর্ঘটনা নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কিছু, তা নিয়ে এনকাউন্টারে জখম যুবকের পরিবারে আলোচনা শুরু হয়েছে।

গত মাসে সামশাবাদ টোলপ্লাজার কাছে স্কুটি রেখে অন্য এক চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে যান হায়দরাবাদের তরুণী পশু চিকিৎসক। রাত নটা নাগাদ স্কুটি নিতে গিয়ে দেখেন টায়ার পাংচার হয়ে গিয়েছে। তখনই তাঁর কাছে দু’জন যুবক এগিয়ে আসে। স্কুটির চাকা সারিয়ে দেওয়ার কথা বলে। বাধ্য হয়ে ওই যুবকদের বিশ্বাস করেন তিনি। টায়ার পাংচার সারাতে নিয়ে যাওয়ার অছিলায় স্কুটিটি নেয় দুই যুবক। সেই সময় টোলপ্লাজাতেই দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন তরুণী। যদিও অল্প সময়ের মধ্যেই স্কুটি নিয়ে ফিরে আসে দু’জনে। কোনও গ্যারেজ খোলা না থাকায় স্কুটি টায়ার সারানো সম্ভব হয়নি বলেও জানায় ওই যুবকেরা। ইতিমধ্যেই ফোনে বেশ কয়েকবার বোনের সঙ্গে কথা বলেন চিকিৎসক। তিনি জানান, তাঁর ভয় করছে। এরপরই ফোন সুইচড অফ হয়ে যায় তাঁর। রাতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে পরিজনদের। পুলিশের দ্বারস্থ হন চিকিৎসকের বাবা। অভিযোগ, পুলিশের গড়িমসিতে প্রায় গোটা রাত কেটে যায়। পরেরদিন সকাল টোলপ্লাজা থেকে সামান্য দূরে একটি ব্রিজের নীচ থেকে তরুণীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চার যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, পরিকল্পনামাফিক স্কুটির টায়ার পাংচার করে তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে দিয়েছে তারা। মৃত্যুর পরেও তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলেই তদন্তে স্বীকার করে নেয় অভিযুক্তরা। গত ৬ ডিসেম্বর অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনা পুনর্নির্মাণে যায় পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, পুনর্নির্মাণের সময় আগ্নেয়াস্ত্র ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল ওই চারজন। তাই তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। সেদিনই এনকাউন্টারে খতম করা হয় গণধর্ষণে অভিযুক্তদের। বর্তমানে ওই চার অভিযুক্তের দেহের আবারও ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিপিন রাওয়াতের মন্তব্য নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে, মত প্রাক্তন সেনা কর্তার]

তারই মাঝে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত চেন্নাকেশাভুলুর বাবা কোমারাইহা বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় এসিপি’র ব্যক্তিগত গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে তাঁকে। স্থানীয়দের দাবি, ওই গাড়িতে মোট সাতজন মহিলা ছিল। তাঁরা মেহবুবানগর থেকে দেবাসুগুরে একটি মন্দিরে যাচ্ছিলেন। ওই মন্দিরে যাওয়ার সময়ই ধাক্কা লাগে। পায়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন কোমারাইহা। বর্তমানে নিজামস ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে ভরতি রয়েছেন তিনি। বর্তমানে ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা কেমন, সে সম্পর্কে এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি চিকিৎসকেরা। সত্যিই দুর্ঘটনা নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কিছু, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ