Advertisement
Advertisement

Breaking News

জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া

‘আমি ব্যথিত, দেশ এবং জনগণের সেবা করতে বিজেপিতে যোগ’, বললেন সিন্ধিয়া

'কংগ্রেসে থেকে মানুষের সেবা করা যাচ্ছিল না', দাবি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।

I would like to thank PM Narendra Modi says Jyotiraditya Scindia
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:March 11, 2020 3:44 pm
  • Updated:March 11, 2020 3:44 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “কংগ্রেসে থেকে মানুষের সেবা করা সম্ভব হচ্ছিল না। দেশ এবং জনসেবা করার লক্ষ্যে বিজেপিতে যোগ দিলাম।” বুধবার জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে শামিল হওয়ার পর একথা বললেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাঁর যোগদানের সময় বিজেপির শীর্ষনেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শুধু নাড্ডা, এবং ধর্মেন্দ্র প্রধান। মধ্যপ্রদেশের রাজ্য নেতাদের মধ্যে অবশ্য অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে অনুপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।

গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়ে সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia) বলেন, “আমি মাননীয় জেপি নাড্ডা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ দেব, আমাকে আপনাদের পরিবারে স্থান দেওয়ার জন্য। আমার জীবনে দুটি তারিখ খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম দিন ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০০১। যেদিন আমি আমার বাবাকে হারিয়েছিলাম। ওই দিনটা আমার জীবন বদলে দেয়। দ্বিতীয় তারিখ, ১০ মার্চ ২০২০ যেটা ওঁর ৭৫তম জন্মদিবস ছিল। যেদিন জীবনে নতুন মোড় এসেছে। আমি সবসময় মনে করি, আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত জনসেবা। আর রাজনীতি শুধু ওই লক্ষ্যপূরণের একটি মাধ্যমমাত্র। ১৮ বছর ধরে আমি সেটা করার চেষ্টা করেছি কংগ্রেসে থেকে। কিন্তু, আজ আমার মন ব্যাথিত। আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, ওই সংগঠনে থেকে জনসেবার লক্ষ্যপূরণ করতে পারছিলাম না।”

[আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান, জেপি নাড্ডার হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন সিন্ধিয়া]

 

গুণার প্রাক্তন সাংসদের দাবি, “বর্তমানের কংগ্রেস আগের কংগ্রেসের মতো নেই। তাঁর তিনটি কারণ, কংগ্রেস বাস্তবকে অস্বীকার করে। দলের শীর্ষনেতৃত্ব নীতিহীনতায় ভোগে। আর নতুন নেতাদের উপযুক্ত গুরুত্ব দেয় না।” একসময়ের কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতা দাবি করেন,”২০১৮ সালে একটা স্বপ্ন আমি দেখেছিলাম। কিন্তু ১৮ মাসে সেই স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছে। আমরা বলেছিলাম ১০ দিনের মধ্যে কৃষকদের ঋণ মকুব করে দেব। ১৮ মাস হল কিন্তু সেই ঋণ মকুব হয়নি। আগের বছরের ফসলের বোনাস এখনও পায়নি কৃষকরা। শিলাবৃষ্টির জন্য ফসলের ক্ষতি হয়েছে, তারও জরিমানা দেওয়া হয়নি। বেকারদের জন্য কাজ নেই। বেকারদের ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাও মানা হয়নি। আমি আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যদি ভারত মাতাকে সৌভাগ্যের রাস্তায় চালাতে হয়, তাহলে বিজেপির সঙ্গে থেকে জনসেবা এবং রাষ্ট্রসেবা করতে হবে।”

Scindhia

একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর(Amit Shah) নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।সিন্ধিয়া বলেন, “এর আগে হয়তো অন্য কোনও সরকার পরপর দু’বার এই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেভাবে মনেপ্রাণে দেশের জন্য কাজ করেন, যেভাবে গোটা বিশ্বে দেশের নাম গোটা বিশ্বে উজ্বল করেছেন, আমার মনে হয়, ভারতের ভবিষ্যৎ পুরোপুরি ওঁর হাতে সুরক্ষিত। আমি নাড্ডাকে ধন্যবাদ জানাব, আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য। আমি মোদি-শাহর দেখানো রাস্তায় চলব।”

[আরও পড়ুন: বিজেপিতে যেতে নারাজ ১২ বিধায়ক! মধ্যপ্রদেশে আশার আলো দেখছে কংগ্রেস]

সিন্ধিয়াকে দলে স্বাগত জানিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (Jyotiraditya Scindia) বলেন,”আজ রাজমাতার কথা খুব মনে পড়ছে। ও নিজের সারা জীবন উৎসর্গ করেছেন বিজয় রাজে সিন্ধিয়া। ওঁর পৌত্র আমাদের মধ্যে শামিল হওয়ায় আমরা খুশি। আমি বিজেপির তরফে আন্তরিকভাবে ওঁকে স্বাগত জানাচ্ছি। ও পরিবারেরই সদস্য। নিজের পরিবারেই যোগ দিচ্ছে। আমি সিন্ধিয়াকে আশ্বাস দিতে চাই, এখানে দলের মূল ধারার রাজনীতিতে ও সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে পারবে। এটা একটা গণতান্ত্রিক দল। এখানে সবার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।”  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ