সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকে অগ্নিগর্ভ কাশ্মীর। ফের খলিস্তানি স্লোগান শোনা গিয়েছে পাঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরেও। আর এবার পাক সীমান্ত লাগোয়া এই দুই রাজ্যে আইএসআইয়ের হামলার ছক ফাঁস করল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টালিজেন্স ব্যুরো। বস্তুত, এই হামলা চালানোর জন্য ইতিমধ্যেই বামটাল সেক্টর দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে চার জঙ্গি পাঞ্জাবে ঢুকেও পড়েছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।
[কাশ্মীরে সন্ত্রাসের টাকা আসছে কোথা থেকে, গিলানির জামাইকে জেরা গোয়েন্দাদের]
জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই জঙ্গি হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়ে পাঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীর সরকারকে সতর্কবার্তাও পাঠিয়ে দিয়েছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, আগামী পনেরো দিনের মধ্যে জম্মু লাগোয়া কাটুয়া ও পাঞ্জাবের গুরুদাস, পাঠানকোটে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। বলা হয়েছে, জঙ্গিরা আপাতত অস্ত্র হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। আগামী পনেরো দিনের মধ্যে এক মাদক কারবারির মাধ্যমে তাদের হাতে অস্ত্র পৌঁছে দেবে আইএসআই। এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট দুই রাজ্যের সরকার ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আইবি।
পাঞ্জাবে জঙ্গি হামলা অবশ্য নতুন নয়। গত দু বছরে পাঞ্জাবের পাঠানকোট ও গুরুদাসপুরে দুবার জঙ্গি হামলা হয়েছে। ২০১৫ সালে সেনার পোশাক পরে তিন জঙ্গি হামলা চালায় পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরের দিনানগর থানায়। ওই হামলায় মৃত্যু হয় ৭ পুলিশ কর্মীর। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে পাঞ্জাবে। গত বছর একই কায়দায় সীমান্ত পেরিয়ে পাঠানকোটে ভারতীয় বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট চার জঙ্গি। প্রায় তিন দিন ধরে চলে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। শহিদ হন ৭ জওয়ান। ঘটনায় তদন্তে নেমে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী জৈশ-ই-মহম্মদের প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় NIA।