সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গো-রক্ষার নামে ফের দাদাগিরি। এবার আইন হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনা রাজস্থানের আলোয়ারে। মরু রাজ্যের এই জেলায় বেশ কিছু মুসলিম পরিবারের থেকে ৫১টি গরু কেড়ে নেওয়া হল।
[ফের গো-রক্ষকদের তাণ্ডব হরিয়ানায়, ফরিদাবাদে আক্রান্ত পাঁচ]
সম্প্রতি আলোয়ারে এক মুসলিম গায়ককে পিটিয়ে মারার ঘটনা ঘটেছিল। যার পর এলাকার সংখ্যালঘুদের অধিকাংশই গ্রাম ছাড়া। অভিযোগ, তাঁদের গৃহত্যাগের সুযোগে গরুগুলিও কেড়ে নেওয়া হয়। ৫১টি গরু আপাতত আলোয়ারের একটি গোশালায় রয়েছে। এই ঘটনায় গো-রক্ষকদের পাশপাশি মেও সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা পুলিশকেও দুষেছেন। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশের আশ্বাসে তাঁরা দফায় দফায় বাড়ি ফেরেন। কিন্তু বাড়িতে আসার পরও এমন ঘটনা পুলিশকে জানানো হলেও তাঁরা কোনও গুরুত্ব দিতে চাননি। অভিযোগ, গোয়াল থেকে গরুগুলি বের করার বিষয়ে গো-রক্ষকদের সাহায্য করে পুলিশই। গরুর দুধ বিক্রি করে এই পরিবারগুলির পেট চলে। রোজগারের ব্যবস্থা চলে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে তারা। বিজেপি শাসিত রাজস্থানে গো-রক্ষকদের বাড়বাড়ন্ত বেড়েই চলেছে। মাস ছয়েক আগে এই আলোয়ারেই পেহলু খান নামে এক ফার্ম মালিককে পিটিয়ে খুন করেছিল স্বঘোষিত গো-রক্ষকরা। গত সপ্তাহে গায়ককে খুনের পর গরু ছিনতাইয়ের ঘটনা এলাকার সংখ্যালঘুদের চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে। অনেকেই বাড়ি ফিরতে চাইছেন না।
[ফ্রিজের মধ্যে তিন টুকরো দেহ, যুবকের নৃশংস খুনে সন্দেহ বন্ধুকে]
শনিবার গোমাংস নিয়ে সন্দেহের বশে গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছিল হরিয়ানার ফরিদাবাদে। এক অটোচালক-সহ পাঁচ জনকে বেধড়ক পিটিয়েছিল এক দল স্বঘোষিত গোরক্ষক। গোরক্ষকরা ‘জয় হনুমান’ বলে চিৎকার করছিল। এই নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল হরিয়ানার বিজেপি শাসিত সরকার। রবিবার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও ফরিদাবাদে উত্তেজনা কমেনি। দেশ জুড়ে স্বঘোষিত গো-রক্ষকদের বাগে আনতে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর বার্তা যে কেউ গুরুত্বই দিচ্ছে না তা এধরনের ঘটনায় পরিষ্কার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.