সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূষণের বিষ চাদর এখনও সরেনি রাজধানীর উপর থেকে। আর তাই শনিবারও প্রায় এক হাজার আটশো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির মিউনিসিপ্যালিটি কর্পোরেশন।
দুর্গাপুজা থেকে শুরু করে দীপাবলীর রাত পর্যন্ত ঝলমলে আলোর রোশনাইয়ের সাক্ষী যেমন রাজধানী, তেমনই ঘোরতর দূষণেও ডুবেছে দিল্লি। এর জেরে ব্যাহত স্বাভাবিক জনজীবন। শনিবারও স্বাভাবিক হল না রাজধানীর প্রাথমিক স্কুলগুলির পঠন-পাঠন।
কেন্দ্রের দূষণ নিয়ন্ত্রক কমিটির রিপোর্টে জানা গেছে যে, বাতাসে দূষণের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে তেরো গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জনবহুল এলাকা, শিল্পাঞ্চল ও ব্যস্ত রাস্তায় দূষণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে হৃদযন্ত্রের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে ফুসফুস-সহ শ্বাসনালীরও। শুধুমাত্র তাই নয়, এই বিষাক্ত কণাগুলি বয়ে আনছে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ফুসফুসের ক্যান্সার ও জটিল শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত অসুখ।
আন্তর্জাতিক বায়ুদূষণ সংস্থার তথ্যানুসারে, গত সতেরো বছরের মধ্যে এ বছরই রাজধানী সবথেকে বেশি দূষণ কবলিত! বিশ্বের সর্বাধিক বায়ুদূষিত দেশের মধ্যে ভারত সর্বোপরি দিল্লির নাম বেশ এগিয়ে।
মার্কিন গবেষণা সংস্থা ইউনিসেফ-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখানো হয়েছে যে, দীপাবলির রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বাতাসে বিষাক্ত ধূলিকণা ও কুয়াশার উপস্থিতি মাত্রাতিরিক্ত। যার ফলস্বরূপ শনিবার কর্পোরেশন অধীনস্থ সমস্ত বিদ্যালয় বন্ধ।
দূষণের এই কবল থেকে কবে মুক্তি পাবে দিল্লি, আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে রাজধানীর অধিবাসীরা।