Advertisement
Advertisement

Breaking News

ফের বেজিংয়ের ‘দাদাগিরি’, কনকন ঠাণ্ডাতেও ডোকলামে স্থায়ী সেনাঘাঁটি চিনা ড্রাগনের

তৈরি হয়েছে রাস্তা, হেলিপ্যাড-সহ একাধিক পরিকাঠামো।

In first winter stay, 1,800 Chinese troops camping at Doklam
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 11, 2017 5:11 am
  • Updated:September 20, 2019 12:39 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীত পড়তেই ফের ডোকলামে স্থায়ীভাবে সেনা মোতায়েন করল  চিন। ভারত-চিন-সিকিমের ত্রিমুখী সংযোগস্থলে কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে স্থায়ীভাবে সেনা মোতায়েন রাখার জন্য দুটি হেলিপ্যাড, রাস্তা-সহ একাধিক পরিকাঠামো তৈরি করে ফেলেছে বেজিং। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, ডোকলামে যা পরিকাঠামো তৈরি করেছে চিন, তাতে সেখানে ১,৬০০ থেকে ১,৮০০ জন সেনা রাখা যেতে পারে।

[কিমের ক্ষেপণাস্ত্র থামানোর মহড়ায় নামল আমেরিকা, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া]

Advertisement

বস্তুত, মাস খানেক আগে ডোকলামে রাস্তা তৈরি করা নিয়ে ভারত-চিন সংঘাত চরমে উঠেছিল। পাহাড়ের ঢালে দেড়মাসের বেশি সময় মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিল দুই দেশের সেনা। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর, কুটনৈতিক পথে অচলাবস্থা কেটেছিল। তবে এতকিছুর পরেও চিন যে ডোকলামে দখল ছাড়তে রাজি নয়, তা টের পাওয়া গেল। জানা গিয়েছে, প্রবল ঠাণ্ডায়ও ডোকলামে স্থায়ীভাবে সেনা মোতায়েন করেছে বেজিং। তৈরি করা হয়েছে দুটি হেলিপ্যাড, বাঙ্কার, রাস্তা-সহ একাধিক পরিকাঠামো। যদিও ভারতীয় সেনার দাবি, কূটনৈতিকভাবে ডোকলামের দক্ষিণ দিকে চিনের রাস্তা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রুখে দেওয়া গিয়েছে। কিন্তু, এখন ডোকলামে স্থায়ী সেনাঘাঁটি তৈরি করেছে বেজিং।  সেনার এক আধিকারিক জানিয়েছেন,  প্রতিবছরই এপ্রিল-মে ও অক্টোবর-নভেম্বর মাসে নিজেদের উপস্থিতি বোঝানোর জন্য ডোকলামের বিতর্কিত এলাকায় ঢুকে পড়ে লালফৌজ। এলাকাটি নিজেদের বলে দাবি করে ফিরেও যায়। কিন্তু, সেনা মোতায়েন ভারত-চিন সংঘাতের পর, ডোকলাম লাগোয়া ভূটানের ভূ-খণ্ডে থেকে গিয়েছে লালফৌজ। তবে বিতর্কিত এলাকায় স্থিতাবস্থা বজায় আছে।

Advertisement

[ট্রাম্পের ঘোষণাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জেরুজালেমের স্বীকৃতি খারিজ রাষ্ট্রসংঘে]

সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত আগেই সতর্ক করেছিলেন, কূটনৈতিক পথেই সাময়িকভাবে ডোকলামে সেনা-মোতায়েন নিয়ে ভারত-চিন বিবাদ মিটেছে। কিন্তু, ভারত-চিন-সিকিম ত্রিমুখী-সংযোগস্থলে সামরিক উপায়ে নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাবে বেজিং। বস্তুত, ডোকলামে চিনা সেনা টহলদারি নিয়ে আপত্তি নেই ভারতের। কিন্তু, জুন মাসে ডোকলামের বিতর্কিত এলাকায় রাস্তা তৈরি করার চেষ্টা করেছিল বেজিং।  এরফলে ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। ভারত প্রতিবাদ করাতেই দুই দেশের বিবাদ চরমে পৌঁছেছিল।

[বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরে হামলায় ২২৮ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের চার্জশিট]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ