সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমানাধিকার থেকে আসে সমান দায়িত্ব। তাই মহিলাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, পৃথক সুযোগ-সুবিধা ছাড়া তাঁরা পুরুষদের সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে যাবেন কি না। শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন দেশের নবনিযুক্ত সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। তিনি আরও জানিয়েছেন, জওয়ানরা ট্যাঙ্কের ভিতরেই জীবনযাপন করেন। সেখানেই রান্নাবান্না করেন ও ঘুমোন। মহিলারা কমব্যাট বাহিনীতে থাকলেও তাঁদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয় না। জেনারেল রাওয়াত আরও উল্লেখ করেছেন, পেট্রলিংয়ের সময় শৌচাগারের বন্দোবস্ত থাকে না।
সেনাপ্রধানের দায়িত্বগ্রহণের পর শুক্রবার প্রথম বার্ষিক সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, ‘সমাজকে আমরা একভাবেই দেখি। যদি মহিলা সেনাদের কমব্যাট বাহিনীতে আমরা অন্তর্ভুক্ত করা হয় তবে তাঁদের পুরুষ সতীর্থদের মতোই সমান দায়িত্ব পালন করতে হবে। তার মানে তাঁদেরকেও একই কাজ করতে হবে।’ প্রসঙ্গত, দেশের মহিলা সেনাদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয় না। মূলত, তাঁদের সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও পদাতিক বাহিনীতে রাখা হয়। বায়ুসেনাতে মহিলাদের কমব্যাট ফোর্সে রাখা হলেও যুদ্ধক্ষেত্রে এখনও তাঁদের কাজে লাগানো হয়নি।
সেই প্রসঙ্গই তুলে এদিন রাওয়াত বলেন, ট্যাঙ্কে তিনজন সেনার একটি ইউনিট থাকে। যদি ট্যাঙ্কে একটি ইউনিটে এক বা দুজন মহিলা সেনা থাকে এবং তাঁরা যদি পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গে থাকতে রাজি হন তবেই এই বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করতে পারবে সেনাবাহিনী। এই সিদ্ধান্তটা মহিলা সেনাদেরই নিতে হবে জানিয়েছেন রাওয়াত। রাওয়াতের এহেন মন্তব্য বেশ বিতর্কের সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। সেনাবাহিনীতে লিঙ্গবৈষম্যর মতো গুরুতর ইস্যু ফের মাথাচাড়া দিয়েছে রাওয়াতের এই মন্তব্যে। কিন্তু গোটা বিষয়টিই মহিলা সেনাদের সিদ্ধান্তের উপরই ছেড়েছেন জেনারেল রাওয়াত।