Advertisement
Advertisement
চিন

ম্যারাথন সামরিক বৈঠকে মিলল ফল, লাদাখে সব ফ্রন্ট থেকে ফৌজ সরাতে রাজি চিন

দেপসাং উপত্যকায় দুই দেশের সৈন্যরা এখনও পর্যন্ত খুব কাছাকাছি রয়েছে।

India-China agree on total disengagement at all flashpoints
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 15, 2020 9:28 pm
  • Updated:July 15, 2020 9:28 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার ছিল ভারত (India ) ও চিনের (China) মধ্যে চতুর্থ দফার সেনা পর্যায়ের বৈঠক। সীমান্ত থেকে সেনা অপসারণ প্রক্রিয়া মসৃণ রাখতে এবং লাদাখজুড়ে সেনা অপসারণ প্রক্রিয়া চালু রাখতেই এদিন বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, সেনাবাহিনীর কোর কমান্ডার পর্যায়ের এদিনের বৈঠক যথেষ্ট ফলপ্রসূ হয়েছে। অনড় মনোভাব ছেড়ে সংঘর্ষের সমস্ত কেন্দ্র থেকে ফৌজ সরাতে রাজি হয়েছে দুই দেশ।

[আরও পড়ুন: শক্তি বাড়াচ্ছে ফৌজ, ইজরায়েলের থেকে অত্যাধুনিক অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইল কিনছে ভারত]

লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণেরখা বরাবর কিভাবে ধাপে ধাপে সেনা অপসারণ হবে তা নিয়ে আগামী দিনের রোডম্যাপ তৈরি করেছে দুই দেশ। সীমান্তে শান্তি ফেরাতে সেনা অপসারণ প্রক্রিয়া এবং সেনা পর্যায়ের বৈঠক চালু রাখতে রাজি হয়েছে চিনও। ফলে এদিনের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলা যেতে পারে। এক সেনা অফিসার জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল এগারটা থেকে বৈঠক শুরু হয় ভারতের চুশুল এলাকায়। যোগ দেন দুই তরফের উচ্চপদস্থ জেনারেলরা। রাত ন’টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। এখন দেখার বৈঠকের ফলাফল কিভাবে জমিতে কার্যকর করে চিনা সেনা। সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement

সেনা সূত্রের খবর চিনা সেনা বাহিনী পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ১৫৯৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রীতিমত আগ্রাসী ভূমিকা নিচ্ছিল। তবে এখন সেখানে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। পূর্ব লাদাখ সীমান্তের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে চিনা সেনা সরে গেলেও এখনও পর্যন্ত সীমান্ত উত্তাপ পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি। কারণ প্যাংগং লেক এলাকার উত্তর পাড়ে চার থেকে আট নম্বর ফিঙ্গার পয়েন্ট পর্যন্ত ভারতীয় সেনার নো-এন্ট্রি করে রেখেছে পিএলএ। টহলদারি চালাতে পারছে না ভারতীয় সেনা। দেপসাং উপত্যকায় দুই দেশের সৈন্যরা এখনও পর্যন্ত খুব কাছাকাছি রয়েছে। ওই এলাকাগুলিতে থেকে সেনা অপসারণের জন্যই এদিন বৈঠক করা হয়। দেপসাং এলাকা ও প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার পাঁচ থেকে আট পর্যন্ত চিনের সেনা প্রত্যাহার নিয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে।

Advertisement

আলোচনা হয়েছে গালওয়ান উপত্যকায় বিভিন্ন পেট্রোলিং পয়েন্টেগুলিতে বাফার জোনে শান্তি বজায় রাখা নিয়েও। এর আগে ৩০ জুনের বৈঠকের ফল ইতিবাচক হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই এই বৈঠকের ফলও ইতিবাচক হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। গত ৩০ জুনের বৈঠকের শর্ত মেনে গালওয়ান উপত্যকার ১৪ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট, গোগরা ও হট স্প্রিং এলাকায় ভারত সেনা পিছিয়েছে এক কিলোমিটার। চিন সেনা সরিয়েছে দুই কিলোমিটার। ফলে মাঝে যে তিন কিলোমিটার বাফার জোন তৈরি হয়েছে, তাতে কী ভাবে দু’দেশ সেনা নজরদারি চালাবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে । এদিন বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধি ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। চিনের পক্ষ থেকে ছিলেন দক্ষিণ জিংজিয়াং মিলিটারি প্রদেশের কমান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিন।

[আরও পড়ুন: ১৩ বছরের আলোচনা শেষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে অসামরিক পরমাণু চুক্তি ভারতের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ