Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনার ভ্যাকসিন

প্রতি বছরই নিতে হবে করোনার ভ্যাকসিন? ICMR-এর প্রধানের দাবি ঘিরে জল্পনা

স্বাস্থ‌্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ভ্যাকসিনের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে।

India corona vaccine centre government ICMR
Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 4, 2020 2:56 pm
  • Updated:September 4, 2020 2:56 pm

বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: করোনার (Coronavirus) ভ্যাকসিন চালু হলে তা কি প্রতি বছরেই নিতে হবে! ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু ভ্যাকসিনের নিয়মেই কি আগামী দিনে করোনা ভ্যাকসিন আসতে চলেছে? ভ্যাকসিন নিয়ে এমন জল্পনাই উস্কে দিয়েছেন আইসিএমআরের প্রধান বলরাম ভার্গব। বৃহস্পতিবার দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাপ্তাহিক বৈঠকে করোনার অ্যান্টিবডি ও ভ্যাকসিন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, “এটা একটা নতুন রোগ। মাত্র কয়েক মাসই হয়েছে আমরা রোগটির সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আমরা এখনও জানি না এর অ্যান্টিবডি কতদিন থাকবে। ফ্লু এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন প্রতি বছরই নিতে হয়। করোনাও একই ধরণের ভাইরাস।”

ভার্গবের এই মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। করোনার ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে ভার্গব এর থেকে বেশি কিছু এদিন বলেননি। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণও একই সুরে কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, “বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা থেকে এটাই উঠে এসেছে যে কোভিড ১৯-এর ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পাঁচ-ছ’মাস থেকে শুরু করে কয়েক বছর পর্যন্ত থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে এটাই পরামর্শ যে সামাজিক দূরত্ব বিধি এবং মাস্ক পড়ার নিয়ম সবসময় মেনে চলুন।”

Advertisement

তবে স্বাস্থ‌্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ভ্যাকসিনের (Vaccine)  কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। চলতি বছরের শেষেই করোনার ভ্যাকসিন চালু করার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। রাশিয়ার সঙ্গে ভ্যাকসিনের বিষয়েও সরকারের তরফে সমান তালে আলোচনাও চলছে। তবে, দেশীয় ভ্যাকসিন ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাকসিন’কেই সরকারের তরফ থেকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বর্তমানে দ্বিতীয় পর্যায়ের শেষ হয়ে তৃতীয় পর্যায়ের মুখে রয়েছে। দেখা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় উপসর্গহীন করোনা রোগীও অনেক সময় মারা যাচ্ছেন। এপ্রসঙ্গে ভার্গব বলেন, “স্বাভাবিকভাবে উপসর্গহীনদরে মারা যাওয়ার কথা নয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যদি শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে যায়, তাহলে ব্রেন স্টোকের সম্ভাবনা রয়েছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘খাকি উর্দির প্রতি কখনও শ্রদ্ধা হারাবেন না’, IPS অফিসারদের বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির]

দেশের ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের মধ্যেই আনলক ৪-এ আরও বহু ক্ষেত্রে ছাড়া দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের যুক্তি হল মানুষের জীবনের সঙ্গে জীবিকাও জরুরি। তবে সরকার সবকিছু আটঘাট বেঁধে এহেন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ভূষণ বলেছেন, “প্রতিদিন পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে ঠিকই তবে টেষ্টও বাড়ছে। গতকালই ১১ লক্ষ টেষ্ট হয়েছে। পজিটিভ রেটও খুবই বেশি। হঠাৎ করেই যে সবকিছু খোলা হচ্ছে এমনটা নয়। হাসপাতালের ব্যবস্থা, ক্লিনিক্যাল প্রটোকল, ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা সবদিক দিয়েই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তারপরেই সরকার মনে করেছে যে জীবন যেমন জরুরি, জীবিকাও ততটাই জরুরি।” কেন্দ্রের তরফ থেকে দেশের করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ভূষণ জানিয়েছেন, “দেশের মোট অ‌্যাক্টিভ করোনা রোগীর ৬২ শতাংশ মহরাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লিতে।

[আরও পড়ুন: সেফটি জোন, দিল্লিতে লাইনের দু’ধার থেকে ৪৮ হাজার বসতি সরানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ