সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমেই বাড়ছে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু মিছিলও। কিন্তু এখনও ভারত করোনা ভাইরাসের ‘স্টেজ-থ্রি’ বা ‘সামাজিক সংক্রমণ’-এর পর্যায়ে পৌঁছয়নি, এমনটাই দাবি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। ভারত এখনও আটকে ‘স্টেজ-টু’ বা ‘লোকাল ট্রান্সমিশন’-এ।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি,”এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। খুব অল্প সংখ্যক মানুষ ভারতে ‘সামাজিক সংক্রমণ’-এ আক্রান্ত হয়েছেন। যে কোনও রোগ সংক্রমণের চারটি পর্যায় থাকে। প্রথম পর্যায়ে রোগটি আসে বিদেশ থেকে। দ্বিতীয় পর্যায়ে বিদেশ থেকে আসা বাহকদের মাধ্যমে স্থানীয় লোকের দেহে রোগ সংক্রামিত হয়। তৃতীয় পর্যায়ে সামাজিক সংক্রমণ হয়। চতুর্থ পর্যায়ে রোগটি মহামারির আকার নেয়। তবে ভারতে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আক্রান্তের উৎস জানা যাচ্ছে বা অনুমান করা সম্ভব হচ্ছে। তাই এই মারণ রোগ এখনও দ্বিতীয় পর্যায়ে আটকে। যখনই সংক্রমণের উৎস জানা সম্ভব হবে না তখনই তা তৃতীয় পর্যায় বা সামাজিক সংক্রমণের রূপ নেবে।” এখনও পর্যন্ত ৩ বিদেশি নাগরিক সহ দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা হল ৩৫। আর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন হাজারের কিছু বেশি মানুষ, তার মধ্যে কয়েকজন সুস্থও হয়ে উঠেছেন।
[আরও পড়ুন:করোনা মোকাবিলায় বড় সিদ্ধান্ত এইমসের! ট্রমা সেন্টার পরিণত হচ্ছে করোনা হাসপাতালে]
এই চারটি পর্যায়ের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে হল যখন ১জন বা ২ জন বিদেশ থেকে রোগ নিয়ে দেশে ফেরেন। দ্বিতীয় পর্যায় হল এখন। যখানে ট্রেনে যাতায়াতের সময় বা কোনও বিয়ে বাড়িতে গিয়ে আক্রান্তের সংস্পর্ষে এসে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এই লোকাল ট্রান্সমিশনে খুব কম মানুষই আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির উৎস নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে সংক্রমণের চেনকে চিহ্নিত করা যাচ্ছে। তৃতীয় পর্যায়ে যখন আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের উৎস খুঁজে পাবেন না। বিদেশে ভ্রমণ না করেই আক্রান্ত হয়ে পড়লে তাঁকে সামাজিক সংক্রমণ বলা হবে।
[আরও পড়ুন:উত্তরপ্রদেশে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর জীবাণুনাশক স্প্রে! নিন্দায় সরব প্রিয়াঙ্কা গান্ধী]
আজই ভারতে মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের একজন-সহ দেশের ৪ জনের।সারা বিশ্বে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩, ৯৯৩ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭,২৩,৩০৪। মৃতের সংখ্যার নিরিখে সব দেশকে ছাপিয়ে গিয়েছে ইতালি। এখানে মোট মৃতের সংখ্যা ১০,৭৭৯ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭,৬৮৯। অন্যদিকে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে সব দেশকে ছাপিয়ে গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন মুলুকে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,৪২,৭৩৫। মৃত্যু হয়েছে ২৪৮৮ জনের।