Advertisement
Advertisement
Rice

আরও বাড়বে চালের দাম! রপ্তানিতে কেন্দ্রের সবুজ সংকেতে বাড়ছে আশঙ্কা

এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড।

India lifts export ban on organic non-basmati rice | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 30, 2022 3:47 pm
  • Updated:November 30, 2022 3:47 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মূল্যবৃদ্ধির আবহে চাল রপ্তানিতে লাগু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার এক নির্দেশিকা জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড। ফলে চালের দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বাসমতী ছাড়া অর্গানিক চালের বিদেশে রপ্তানিতে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আজ এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে ভাঙা চালের রপ্তানি থেকেও। বলে রাখা ভাল, গত সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশে ভাঙা চাল বিক্রি নিষিদ্ধ করে দেয় মোদি সরকার। মূলত, দেশের বাজারে জোগান বজায় রেখে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। বাসমতী ছাড়া অন্যান্য চালের রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়েছিল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: স্কুলের মধ্যেই অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষিকাকে চুলের মুঠি ধরে মার পড়ুয়াদের

এদিকে, কেন্দ্রের এহেন সিদ্ধান্তে চালের দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনিতে দেশীয় বাজারে বিগত কয়েকমাসে চালের দাম বেড়েছে। এবার রপ্তানির জেরে বাজারে জোগান কমলে দাম আরও ঊর্ধ্বমূখী হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তাৎপর্যপূরণ ভাবে, গত বছরের তুলনায় এবছর খারিফ শস্যের চাষ কম জমিতে করা হয়েছে। তাই ফলন কম হলে সরকারের সিদ্ধান্তে মধ্যবিত্তের পকেটে আরও একপ্রস্থ প্রহার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে ৭ শতাংশ হারে খুচরো পণ্যের দাম বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতির কারণে রেপো রেট বাড়ানোর বিষয়ে ব্যাংকগুলির উপর চাপ বাড়াচ্ছে আরবিআই (Reserve Bank of India)। এই অবস্থায় খুচরো পণ্যের মৃল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে আম আদমির পকেটে। অনেকেই বলছেন, গম, ডাল, চালের মতো প্রয়োজনীয় ফসলের রেকর্ড দাম বাড়ার অন্যতম কারণ তাপপ্রবাহ ও বন্যার মতো দুর্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এটুকুই কারণ নয় বলে মনে করছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাদের মতে মোদি সরকারের ভ্রান্ত অর্থনীতি দায়ী লাগাতার মুদ্রাস্ফীতির জন্যে। যার ফলে দিনের শেষে অস্বস্তিতে পড়ছে গরিব মানুষ। যদিও বিভাজনের রাজনীতি দিয়ে এই ফাঁকফোকড় ঢেকে রাখা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: স্থায়ী চাকরি অলীক গুজরাটের শিল্পাঞ্চলে, শ্রমিক সংগঠনও নিষিদ্ধ মোদি-গড়ে!

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ