সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত দেশের প্রথম বায়ুসেনা মার্শাল, অর্জন সিং। শনিবার সন্ধায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শনিবার সকালেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১৯৬৫-র ভারত-পাক যুদ্ধে বায়ুসেনার এই ‘অধিনায়ক’।
My thoughts are with his family & those mourning the demise of a distinguished air warrior & fine human, Marshal of the IAF Arjan Singh. RIP
— Narendra Modi (@narendramodi) September 16, 2017
শনিবার সকালে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তারপরই তড়িঘড়ি সেনা হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়েই তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
Sometime back I met him, who despite his ill health tried to get up to salute even though I said no. Such was his soldier discipline.
— Narendra Modi (@narendramodi) September 16, 2017
[কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে এবার আসরে মনমোহন সিং]
প্রধানমন্ত্রী টুইট করে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “দেশ এক মহান যোদ্ধাকে হারাল।”শোকপ্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। অর্জনের মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু বলেছেন, “আমি মর্মাহত। দেশ একজন বীর সেনা ও সাহসী জওয়ানকে হারাল।” সাংবাদিক রাজদীপ সরদেশাই শোকজ্ঞাপন করে লিখেছেন, “অর্জন সিং যেমন ফাইভ স্টার অফিসার ছিলেন, তেমনই ছিলেন ফাইভ স্টার ভদ্রলোক। ” প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভি কে সিং বলেছেন, “প্রয়াত অর্জন সিংকে আমি স্যালুট জানাই।”
Pained by the sad demise of Marshal of the Indian Air Force Arjan Singh ji. I express my deepest condolences to his family and friends. pic.twitter.com/kaliY3HBlU
— Amit Shah (@AmitShah) September 16, 2017
[’গাড়ি কিনতে পারলে পেট্রলের দাম দিতে অসুবিধা কোথায়?’]
নিজের দীর্ঘ কেরিয়ারে ৬০-এর বেশি বায়ুসেনা বিমান উড়িয়েছেন তিনি। ১৯৬৯ সালে তিনি অবসর নেন। ভারত-পাক যুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল ৪৪। এই যুদ্ধে তাঁর কৃতিত্ব ভোলার নয়। ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের পানাগড়ের এয়ারবেসটি অর্জন সিংয়ের নামে করা হয়। জীবিত অবস্থায় কারও নামে ঘাঁটির নজির বিরল। বায়ুসেনা থেকে অবসরের পরও তাঁকে বিভিন্ন দায়িত্বে দেখা গিয়েছে। সুইজারল্যান্ড ও ভ্যাটিকান সিটিতে তিনি ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসাবে কাজ করেছেন। হাই কমিশনার ছিলেন কেনিয়ায়। তাঁর কর্মদক্ষতাকে কুর্নিশ করে ২০০২ সালে মার্শাল অব দ্য এয়ার ফোর্স সম্মানে তাঁকে সম্মানিত করা হয়।