সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সংখ্যা কমানোর পথে হাঁটছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার। এর আগে ২৭টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে সংযুক্ত করে ১২টিতে নামিয়ে আনা হয়েছিল। এবার তা পাঁচে নামানো হবে বলে সূত্রের খবর। যার প্রথম ধাপ হিসেবে অর্ধেকেরও বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বেশির ভাগ শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া হবে। এবং ধীরে ধীরে এই ব্যাংকগুলি থেকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
পরিকল্পনার প্রথম ধাপে ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (Bank of India), সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (Central Bank of India), ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংক, ইউকো ব্যাংক (UCO Bank), ব্যাংক অফ মহারাষ্ট্র এবং পাঞ্জাব ও সিন্ধ ব্যাংকের শেয়ার বিক্রি করা হবে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই সূত্রের দাবি, “প্রাথমিক পরিকল্পনা হল, দেশে চার-পাঁচটির বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থাকবে না। শীঘ্রই এই প্রস্তাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে।” যদিও বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষের মধ্যে কেন্দ্র ভারতকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। আর সেক্ষেত্রে ব্যাংক সংযুক্তিকরণ এই কাজে গতি আনবে বলেই আশা সরকারের। তাদের দাবি, সংযুক্তিকরণের ফলে যেমন নতুন বড় ব্যাংকগুলির পরিষেবার পরিধি বাড়বে, তেমনই উন্নত হবে প্রযুক্তি এবং ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা। যা অর্থনীতির গতিকে তরান্বিত করবে।
[আরও পড়ুন: বেতন কাটা হলে হবে ‘তুমুল বিক্ষোভ’, হুমকি এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটদের]
যদিও করোনার জেরে থমকে যাওয়া অর্থনীতির হাল ফেরাতে অর্থের সংস্থানের জন্যই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির শেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, দেশজুড়ে যেভাবে ঋণ কেলেঙ্কারি, ব্যাংক দুর্নীতি বাড়ছে, তাতে ব্যাংকগুলির উপর থেকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ উঠে গেলে সাধারণ মানুষ আদৌ টাকা রাখতে ভরসা পাবে তো? বহু কষ্টে জনধন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে যেসব প্রান্তিক মানুষকে ব্যাংকমুখো করা গিয়েছিল, তারা আবার ব্যাংকের উপর থেকে আস্থা হারাবে না তো?