সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এপ্রিল থেকে মে- এই সময়কালে গির অভয়ারণ্যে নরখাদক সিংহের হাতে প্রাণ দিয়েছেন তিনজন ব্যক্তি। তার পর থেকেই শুরু হয়েছিল খোঁজাখুঁজির পালা!
অবশেষে সেই খোঁজ সার্থক হয়েছে। ১৮টি সিংহের একটি দলকে খাঁচাবন্দি করতে পেরেছে অভয়ারণ্য কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে তাদের বর্জ্য। তার মধ্যে একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ সিংহ এবং তিনটি অল্পবয়স্ক সিংহীর বর্জ্যে মানুষের মাংস এবং হাড়গোড়ের অস্তিত্ব মিলেছে। তার পরে সেই পুরুষ সিংহটিকে খাঁচাবন্দি করে রাখা হয়েছে। সিংহীদের ঠাঁই হয়েছে একটি রেসকিউ সেন্টারে। বাকি ১৫টি সিংহকে ছেড়ে আসা হয়েছে অরণ্যের গভীরে। সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছেন গির অভয়ারণ্য প্রধান এ পি সিং।
সিং আরও জানিয়েছেন, মানুষ মেরে তাঁদের মাংস খেয়েছিল পুরুষ সিংহটিই! সিংহীরা পেয়েছিল উদ্বৃত্তের ভাগ! সেই জন্যই তাদের উদ্ধার কেন্দ্রে পাঠিয়ে বিপজ্জনক সিংহটিকে খাঁচাবন্দি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেশ অনেক দিন ধরেই গিরের সিংহদের মধ্যে কিছু অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করছেন পরিবেশবিদরা। তাঁদের দাবি, সিংহের বেড়ে চলা সংখ্যাই রয়েছে এর নেপথ্যে। সংখ্যায় বেড়ে যাচ্ছে বলে তারা খাবার পাচ্ছে না। ফলে, তারা যে উপায়েই হোক, খাবার খুঁজতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
কিন্তু মুশকিল হল, গিরের অভয়ারণ্যে কেবল ২৭০টি সিংহকেই জায়গা দেওয়া যায়। তার বেশি সিংহ রাখার ক্ষমতা এই অভয়ারণ্যের নেই। তাই নির্দেশ জারি হয়েছে, গির উদ্বৃত্ত সিংহদের যেন অন্য রাজ্যে পাঠাবার ব্যবস্থা করে!
যদিও গুজরাত এখনও এই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি!