Advertisement
Advertisement
Armenia

‘মুসলিম’ আজারবাইজানের হামলা রুখতে ‘খ্রিস্টান’ আর্মেনিয়াকে ‘পিনাক’ ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে ভারত

নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের দখল নিয়ে আবারও লড়াই শুরু করেছে প্রাক্তন দুই সোভিয়েত দেশ।

India signs arms deal with Armenia | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 30, 2022 2:14 pm
  • Updated:September 30, 2022 2:57 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের যুদ্ধে জড়িয়েছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের দখল নিয়ে আবারও লড়াই শুরু করেছে প্রাক্তন দুই সোভিয়েত দেশ। এহেন পরিস্থিতিতে এবার আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীকে ‘পিনাক’ রকেট লঞ্চার ও ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে ভারত।

জানা গিয়েছে, আর্মেনিয়ার (Armenia) সঙ্গে ইতিমধ্যে দু’হাজার কোটি টাকার অস্ত্রচুক্তিতে সই করেছে ভারত। চুক্তিমাফিক আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীকে রকেট লঞ্চার ও মিসাইল দেবে নয়াদিল্লি। দেওয়া হবে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইলও। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আজারবাইজান মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র। সেই সূত্রে, দেশটি তুরস্ক ও পাকিস্তানের থেকে সামরিক সাহায্য পাচ্ছে। সীমান্ত সংঘর্ষের প্রাথমিক পর্যায়ে তারা ‘সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে’ রয়েছে বলেই পশ্চিমের সংবাদমাধ্যমের দাবি। তাই আজারবাইজানের মোকাবিলায় খ্রিস্টান-প্রধান আর্মেনিয়া ভারতের দ্বারস্থ হয়েছে। সে দেশের বিদেশ দপ্তরের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরকে অবহিত করেছি যে, আর্মেনিয়ার সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার চেষ্টা হচ্ছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: কাবুলের শিয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ১৯]

কী বিশেষত্ব পিনাক রকেটের? শত্রু শিবিরে হামলার পাশাপাশি বিভিন্ন গাড়িতে আক্রমণ করে লক্ষ্যভেদে অবর্থ্য হতে পারে এই রকেটগুলি। এই ধরনের রকেট অবশ্য নতুন নয়। বহু দিন ধরেই পিনাক ভারতীয় সেনাবাহিনীর বড় ভরসা। গত একদশক ধরে নিয়মিত ব্যবহৃত হচ্ছে এই রকেট। গত বছরের মে মাস থেকে লাদাখে চিনা আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর তাদের মোকাবিলা করতে এই রকেট লঞ্চার সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রায় ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম এই হাতিয়ার।

Advertisement

বিশ্লেষকদের মতে, সোভিয়েত সদস্য থাকার দরুন আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া দুই দেশই এখনও ধর্মনিরপেক্ষতার দিকেই ঝুঁকে। তবে নাগর্নো-কারাবাখ সংঘাত এবং তুরস্ক ও পাকিস্তানের ‘মুসলিম বিশ্বের ত্রাতা’ হয়ে ওঠার চেষ্টায় ধর্মের ভিত্তিতে ফাটল চওড়া হচ্ছে। এদিকে, বাকু ও ইয়েরেভান দুইয়ের সঙ্গেই নয়াদিল্লির সম্পর্ক ভাল। যেহেতু অজারবাইজানকে হাতিয়ার দিচ্ছে তুরস্ক ও পাকিস্তান, তাই  অস্ত্রের বাজার ধরতেই পালটা দিয়েছে ভারত।                  

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে আর্মেনিয়ার তরফে জানানো হয়, আজারবাইজানের হামলায় তাদের অন্তত ৪৯ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে। ২০২০ সালের পরে এটাই দুই দেশের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বলে মনে করা হচ্ছে। বলে রাখা ভাল, আজারবাইজান (Azerbaijan) ও আর্মেনিয়া দুই দেশই সোভিয়েত ইউনিয়নের সদস্য ছিল। নব্বইয়ের দশকে সোভিয়েতের পতনের পরই সীমান্ত সংঘাত শুরু হয় তাদের মধ্যে। ওই সময় আর্মেনিয়ার মদতে আজারবাইজান থেকে আলাদা হয়ে যায় নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল। ২০২০ সালে এই বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে যুদ্ধে জড়ায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। মৃত্যু হয় কয়েক হাজার সেনার। দু’পক্ষের কাছে জয় অধরা থাকলেও নাগর্নো-কারাবাখের বেশকিছু জায়গা ফের দখল করতে সক্ষম হয় আজারবাইজানের সেনা। তবে রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় দুই দেশই।

[আরও পড়ুন: অধিকৃত ইউক্রেনের ‘গণভোটে’ জয়ী রাশিয়া! পর্তুগালের সমান ভূখণ্ড খোয়াতে চলেছে কিয়েভ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ