Advertisement
Advertisement

Breaking News

আরও শক্তিশালী ভারতীয় সেনা, ‘হ্যালিনা’র ছোবলে কুপোকাত হবে ‘ড্রাগন’ 

ভারতীয় ভূখণ্ডে নজর দিলেই ভেঙে দেওয়া হবে শত্রুপক্ষের মেরুদণ্ড।

India successfully test fires Helina anti-tank missile
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 20, 2018 1:47 pm
  • Updated:August 20, 2018 1:47 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার ‘হ্যালিনা’র দাপটে কাঁপবে দুশমন। ভারতীয় ভূখণ্ডে নজর দিলেই ভেঙে দেওয়া হবে শত্রুপক্ষের মেরুদণ্ড। আকাশ কাঁপিয়ে শত্রুশিবিরে মারণ কামড় দেবে ভারতীয় সেনার নয়া হাতিয়ার ‘হ্যালিনা’ মিসাইল।

[কেরলের বন্যার্তদের নিয়ে ফেসবুকে রসিকতা, চাকরি খোয়ালেন যুবক]

Advertisement

রবিবার রাজস্থানে একাধিক গাইডেড বম্ব ও ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে সেনাবাহিনী। এদের মধ্যে অন্যতম ‘হ্যালিনা’ মিসাইল ও ‘স্মার্ট অ্যান্টি এয়ারফিল্ড ওয়েপন’। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, পোখরানের ফায়ারিং রেঞ্জ থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় হ্যালিনা মিসাইল। সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার থেকে নির্ধারিত লক্ষ্যের দিকে ধেয়ে যায় হ্যালিনা এবং সঠিকভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে মিসাইলটি তৈরি করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে থাকবে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক হ্যালিনা মিসাইল। এই ক্ষেপণাস্ত্রের কাজ হচ্ছে শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্কবাহিনীকে ধবংস করে দেওয়া। ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার পর্যন্ত নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম হ্যালিনা। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক ‘ইনফ্রারেড ইমেজিং সিকার’ যা রাতেও প্রতিপক্ষের ট্যাঙ্ক খুঁজে বের করতে সক্ষম। ২০১৯-এর মধ্যেই এই অস্ত্রটি সেনাবাহিনীর হাতে চলে আসবে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

এদিন রাজ্যের চন্দন ফায়ারিং রেঞ্জে পরীক্ষা করা হয় ‘স্মার্ট অ্যান্টি এয়ারফিল্ড ওয়েপন’ নামের অত্যাধুনিক বোমার। বায়ুসেনার জন্য বিশেষভাবে তৈরি এই হাতিয়ারটি তৈরি করা হয়েছে। এর হামলায় শত্রুপক্ষের বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে যাবে। রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রতিপক্ষের জঙ্গিবিমান উড়ান ভরতে পারবে না। এহেন অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরির জন্য ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। উল্লেখ্য, চিন ও পাকিস্তানের আগ্রাসি মনোভাবে প্রস্তুত থাকতে চাইছে ভারত। তাই সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণে দ্রুত পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র। কয়েকদিন আগেই VC11184 নামের একটি গোপন রণতরীর কথা জানায় প্রতিরক্ষামন্ত্রক। ‘ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন’-র জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে নজরদারি জাহাজটি। অত্যাধুনিক এই VC11184 নামের জাহাজটি তৈরি করতে লেগেছে প্রায় চার বছর। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক রাডার, যা পারমাণবিক মিসাইলের উপর নজরদারি করবে। শত্রুপক্ষ মিসাইল দাগলে মুহূর্তে তা ধরা পড়বে রাডার স্ক্রিনে। সঙ্গে সঙ্গেই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম থেকে ছুটে যাবে ক্ষেপণাস্ত্র। মাঝ আকাশেই ধ্বংস হয়ে যাবে শত্রুপক্ষের মিসাইল। আপাতত নানা পরীক্ষা চলছে জাহাজটিতে। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই অপারেশন শুরু করবে এই জাহাজটি।

                 [কাটল জট, পুজোর আগেই রাজ্যে ভূগর্ভস্থ পাইপলাইনের মাধ্যমে শুরু গ্যাস সরবরাহ]                                                                  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ