সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনাভাইরাস (COVID-19) রুখতে কোনও ব্যবস্থা না নিলে এতদিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেত পরিস্থিতি। দেশজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে যেত ৮ লক্ষ কুড়ি হাজার। শুধুমাত্র কার্যকরী পদক্ষেপই নয়, এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাজে এসেছে দেশজুড়ে জারি হওয়া লকডাউনও। সময়মতো লকডাউন জারি না হলে এতদিনে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু’লক্ষ ছাড়িয়ে যেত। শনিবার পরিসংখ্যান দিয়ে এমনটাই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Health ministry)।
The Government’s goal is to implement containment policy, containment action plan, contact tracing and clinical management of #COVID2019 patients in proper manner, as per process, in coordination with states – @MoHFW_INDIA ➡️https://t.co/sUr5VHkJxc #IndiaFightsCorona
— PIB India 🇮🇳 #StayHome #StaySafe (@PIB_India) April 11, 2020
শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দৈনিক বিবৃতিতে যুগ্ম স্বাস্থ্য সচিব লাভ আগারওয়াল জানান, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এর বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপ এবং লকডাউন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই ব্যবস্থাগুলি না করা হলে এতদিনে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দু’লক্ষ হতে পারত। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, এই মহামারির বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে তাদের লড়াই সক্রিয় এবং কার্যকরী। ইতিমধ্যেই গোটা দেশে এক লক্ষ আইসোলেশন বেডের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। প্রায় ১১ হাজার ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা হয়েছে। গোটা দেশে এমন ৫৮৬টি হাসপাতাল আছে যেখানে শুধু করোনার চিকিৎসা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘করোনা হটস্পট বলে কিছু হয় না’, নবান্নে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মেজাজ হারালেন মমতা]
সরকারের দাবি লকডাউন শুরুর আগে যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল, সেই হার বজায় থাকলে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সংখ্যাটি দু’লক্ষ ছাড়িয়ে যেত। আর সরকার যদি মহামারি আটকাতে কোনও ব্যবস্থাই না নিতো তাহলে সংখ্যাটা ৮ লক্ষ কুড়ি হাজার পর্যন্ত হতে পারত। উল্লেখ্য করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলা করতে গত ২৪ মার্চ দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন জারি করে কেন্দ্র সরকার। তা সত্বেও ইতিমধ্যেই ভারতে প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ এই ভাইরাসের কবলে পড়েছে । সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আগামী দিনে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই সেই সিদ্ধান্ত ঘোষিত হতে পারে।