Advertisement
Advertisement

Breaking News

পাকিস্তানকে জবাব দিতে উদগ্রীব সেনা

সেনার পক্ষ থেকে সরকারকে জানানো হয়েছে, হামলার জায়গা এবং সময় নির্বাচন তারাই করবে৷ শুধু সরকারের থেকে হামলা চালানোর অনুমোদনের প্রয়োজন৷

Indian army to retaliate against pakistan
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 25, 2016 9:12 am
  • Updated:September 25, 2016 9:12 am

স্টাফ রিপোর্টার: কোনও কথা নয়, এবার কাজে করে দেখাতে হবে৷ উরির ভারতীয় সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর যেভাবে পাকিস্তান সন্ত্রাস হামলার পিছনে তাদের ভূমিকাকে অস্বীকার করছে, তারই জবাব এবার দিতে চায় ভারত৷ সূত্র বলছে, তৈরি হয়ে রয়েছে সেনাও৷ এমনকী, সেনার পক্ষ থেকে সরকারকে জানানো হয়েছে, হামলার জায়গা এবং সময় নির্বাচন তারাই করবে৷ শুধু সরকারের থেকে হামলা চালানোর অনুমোদনের প্রয়োজন৷ শনিবার সকালে পুরো বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের বাসভবনে তিন সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন৷ সেনাপ্রধান জেনারেল দলবীর সিং সুহাগ, বায়ুসেনা প্রধান মার্শাল অরূপ রাহা, নৌবাহিনীর উপপ্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল করমবীর সিং বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন৷ তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে শুত্রবারই নর্থব্লকেও একটি জরুরি বৈঠক হয়৷ যেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, সেনাপ্রধান জেনারেল সুহাগ ও আইবি এবং ‘র’-এর প্রধান৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সেই বৈঠকে খতিয়ে দেখা হয় ভারতের কাছে পাকিস্তানকে উচিত জবাব দেওয়ার জন্য ঠিক কী কী পথ আছে৷ জানতে চাওয়া হয় সকলের মতামত৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সূত্রের মতে, সেনাপ্রধান সুহাগ বৈঠকে দাবি করেন, উরির যদি সঠিক জবাব না দেওয়া হয় তবে সেনায় কর্মরত আধিকারিক ও জওয়ানদের মনোবলে ধাক্কা লাগবে৷ বৈঠকে উঠে আসে সার্জিকাল স্ট্রাইকের কথাও৷ এইসব তথ্যকে সামনে রেখেই এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সারেন সেনার তিন কর্তা৷ বৈঠকে উচিত জবাবের পথ-সহ নিরাপত্তা বিষয়েও একাধিক তথ্য জানানো হয় প্রধানমন্ত্রীকে৷ যদিও নিজে মুখে স্ট্র্যাটেজির কথা স্বীকার করেননি সেনাপ্রধান৷ তাঁর কথায়, “এটি একটি রুটিন বৈঠক ছিল৷ প্রত্যেক মাসেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই ধরনের একটি বৈঠক হয়৷”

Advertisement

উরি হামলার পর দেশে সেনা ও বায়ুসেনা ঘঁটিগুলির সুষ্ঠু নিরাপত্তাও বড় ধরনের চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে৷ কারণ, গত বছর উধমপুর ছাউনি হামলা থেকেই একের পর এক সন্ত্রাস হামলা হয়ে আসছে ঘাঁটিগুলোতে৷ পাঠানকোট বায়ুসেনাঘাঁটি ছিল তারই অন্যতম৷ চলতি মাসেই পুঞ্চে ব্রিগেড হেডকোয়ার্টারে হামলার পরিকল্পনা ছিল তারই এক অংশ৷

Advertisement

তবে উরি সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে একসঙ্গে ১৮ জনকে মেরে ফেলা ছিল সবথেকে ভয়াবহ৷ প্রমাণ হিসাবে জঙ্গিদের থেকে পাকিস্তানের ছাপ মারা বিভিন্ন্ সামগ্রী উদ্ধার করলেও, আন্তর্জাতিক মহলে যথারীতি পাকিস্তান তা স্বীকার করতে চায়নি৷ তাই সূত্রের মতে, এবার মোদির মনোভাবও কঠিন৷ কড়াভাবে বুঝে নিতে চান পাকিস্তানকে৷ যোগ্য জবাব দিতে তৈরি ভারতীয় জওয়ানরাও৷

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ