সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে, ‘লিভ দ্য লাইভ কিং সাইজ’। কিন্তু, তা বলে কী আর বাস্তবে কারও পক্ষে রাজা হওয়া সম্ভব? তবে নিজেকে রাজা বলেই মনে করেন মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা সুয়াশ দীক্ষিত। ফেসবুকে মিশর ও সুদানের মধ্যবর্তী একটি এলাকার ছবি দিয়ে সুয়াশের ঘোষণা, দাবিহীন ওই এলাকার রাজা তিনি। এমনকী, তাঁর দাবিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য অনলাইনে রাষ্ট্রসংঘের আবেদনও জানিয়েছেন সুয়াশ।
[যৌবনে ‘অ্যাডাল্ট’ ছবি দেখতেন, স্বীকার করলেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী]
আফ্রিকায় মিশর ও সুদানের মধ্যবর্তী ওই এলাকাটি বির-তাউইল নামে পরিচিত। আয়তন প্রায় ২ হাজার বর্গকিলোমিটার। এলাকাটি জনবসতিহীন। মিশর বা সুদান কোনও দেশই বির-তাউইলের মালিকানাও দাবি করে না। তাই ওই এলাকায় কমিউনিটি ভিত্তিক দেশ গড়ে তুলতে চান সুয়াশ দীক্ষিত। পেশায় একটি তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থার সিইও সুয়াশ মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা। সম্প্রতি মিশরে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই বির-তাউইল নামে দাবিহীন ওই এলাকার সম্পর্কে জানতে পারেন ওই যুবক। এরপরই ফেসবুকে ওই এলাকার ছবি দিয়ে নিজেকে রাজা বলে ঘোষণা করেছেন সুয়াশ। শুধু তাই নয়, বির-তাউইলের রাজা হওয়ার জন্য অনলাইনে রাষ্ট্রসংঘের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। সুদুর আফ্রিকার জনমানবহীন একটি এলাকার রাজা তো না হয় হলেন। কিন্তু, কীভাবে নিজের রাজ্যত্ব চালাবেন? সুয়াশ দীক্ষিতের বক্তব্য, বির-তাউইল এলাকায় জনবসতি গড়ে উঠুক, সেটা একেবারেই চান না তিনি। বরং, তাঁর রাজ্যত্বে সেখানে গড়ে উঠবে এক কমিউনিটি-ভিত্তিক দেশ। যাঁরা সেই দেশের নাগরিকত্ব নেবেন, তাঁরা অনলাইনে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রেখে চলবেন। সুয়াশ দীক্ষিত জানিয়েছেন, ‘ আমি টাকার বিনিময়ে একমাসের জন্য কোনও ব্যক্তি দেশের রাষ্ট্রপতি পদে নিয়োগও করতে পারি।’ তাঁর দাবি, নতুন এই দেশের নাগরিক হতে চেয়ে ইতিমধ্যেই বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আটশোরও বেশি মানুষ আবেদন করেছেন।
[ইন্দোরের নতুন নাম হোক ‘ইন্দুর’, প্রস্তাব বিজেপি কাউন্সিলরের]
প্রসঙ্গত, মিশর ও সুদানের মধ্যবর্তী এই বির-তাউইল এলাকাটি হল বিশ্বের একমাত্র জায়গা, যেখানে কোনও দেশের মালিকানা নেই। গত একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে এই এলাকায় কেউ বসবাসও করেন না।
[মরশুমের প্রথম তুষারপাত কাশ্মীরে, সোনমার্গ যেন শ্বেতশুভ্র]