সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল্পনার অবসান ঘটিয়ে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সোমবার রাত থেকে চলা মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের মহানাটককে তাদের ‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’ বলেই মন্তব্য করেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তিনি জানান, কংগ্রেসের অন্দরে চলা এই গৃহযুদ্ধে কোনওভাবেই তাঁর দলের হাত নেই।
হোলির সকালে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান নিজের দলীয় বৈঠকের সময় দলীয় কর্মীদের হোলির শুভেচ্ছা জানান, পাশাপাশি রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি কংগ্রেসের অন্দরের কোন্দল নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। তিনি আরও বলেন, “রাজ্যের সরকার ভেঙে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য নয়। আমরা জনগণের স্বার্থে কাজ করতে চাই।” তবে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের সঙ্গে অনেকদিন ধরেই যে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল ও একটি অঘোষিত যুদ্ধ চলছিল তা অজানা নয়। এমনকি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপি গোপনেই দল ভাঙার কাজ চালাচ্ছিল মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের অন্দরে।
মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্র জানান, “কমল নাথের কাছে ২০ জন মন্ত্রী ইস্তফা দেওয়ায় কংগ্রেসের কাছে এটা বড় বার্তা যে সেখানে কিছু ভুল হচ্ছে। আমি মনে হচ্ছে এই সরকারের মেয়াদ বেশিদিন নয়। কমল নাথ সরকার পরিচালনায় ব্যর্থ হচ্ছেন।” সোমবার দিনভর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও নিরুদ্দেশ ১৭ জন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নিরন্তর চেষ্টা চালানো হয় দলের অন্দরে কিন্তু তাদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি মধ্যরাতেই ২০ জন মন্ত্রী মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন। তবে তাদের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করে একটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার ও নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন কমল নাথ। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এই ঘটনার সমস্ত দায় চাপিয়ে দিয়েছেন বিজেপির উপরেই। গেরুয়া শিবিরই তাঁর সরকারকে ‘অচল’ করে দিতে অনৈতিক উপায়ে দল ভাঙার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।
[আরও পড়ুন: ‘মন্ত্রিত্বের লোভেই দল ছেড়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া’, কটাক্ষ অধীরের]
রাজ্যের এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে একদিকে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছিল রাজনীতিবিদদের মনে। সেই পরিস্থিতিতে জ্যোতিরাদিত্যর বাবা কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা মাধবরাও সিন্ধিয়াকে মঙ্গলবার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান শিবরাজ সিং চৌহান। মধ্যপ্রদেশে দলবদলের রাজনীতির উত্তাপের মধ্যেই এদিন সন্ধে ৭টায় বিজেপি ও কংগ্রেস বিকেল ৫টায় তাদের দলীয় বৈঠক সারবে।