Advertisement
Advertisement

Breaking News

তিন টুকরো হচ্ছে কাশ্মীর, হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরল গুজব

পিডিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, প্যান্থার্স পার্টির রাজনৈতিক অস্তিত্ব বিলুপ্ত হতে পারে!

Jammu & Kashmir to be divided in three parts, rumours circulated
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 3, 2019 9:37 am
  • Updated:August 3, 2019 9:37 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রশাসনিক সুবিধের জন্য, সন্ত্রাসবাদ দমন করতে এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জব্দ করতে জম্মু ও কাশ্মীরকে নাকি তিন টুকরো করা হচ্ছে। এই গুজবে দিনভর ঘুরে বেড়াল হোয়াটসঅ্যাপে। যদিও গুগল সার্চে তেমন কোনও খবর নেটদুনিয়ায় চোখে পড়েনি।

[আরও পড়ুন: জঙ্গি হামলার আশঙ্কা, কড়া নিরাপত্তা পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে]

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়েছে যে, ‘৩৫ এ’ ও ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাশ্মীরকে তিন টুকরো করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পরিকল্পনাটি হল এরকম যে, হিন্দু প্রধান জম্মু হবে আলাদা রাজ্য। তার আলাদা বিধানসভা। বৌদ্ধ অধ্যুষিত লাদাখ হবে আলাদা কেন্দ্রশাসিত এলাকা। কাশ্মীর উপত্যকা-সহ নিয়ন্ত্রণরেখা, সিয়াচেন মিলে হবে ‘কাশ্মীর কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল’। অর্থাৎ সমস্যাসঙ্কুল কাশ্মীর থাকবে সরাসরি দিল্লির নিয়ন্ত্রণে। এখানে কোনও রাজনৈতিক দলের ক্রিয়াকলাপ থাকবে না। সংবিধান সংশোধন করে কাশ্মীরকে সরাসরি ২৪ ঘণ্টা ৩৬৫ দিন কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে। যার নিট ফল হতে পারে, কাশ্মীরে প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দল পিডিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, প্যান্থার্স পার্টির রাজনৈতিক অস্তিত্ব বিলুপ্ত হতে পারে। কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হলে হুরিয়ত কনফারেন্সকেও কোণঠাসা করে অকেজো করে দেওয়াটা আরও সুবিধে হবে। কারণ সাংবিধানিক ফাঁকফোকর গলে হুরিয়ত নানা রাজনৈতিক ও সামাজিক সুবিধে পেয়ে থাকে। সেই সুবিধে নিয়ে তারা ভারত বিদ্বেষী কাজকর্ম চালায়। কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতা ও ভারত বিরোধী শক্তিকে দমন করতেই এরকমভাবে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে তিন টুকরো করার কৌশল নেওয়া হচ্ছে বলে গুজব রটেছে। এনডিএ পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীরের এতদিনকার পরিচিত রাজনৈতিক ছবিটা পুরোপুরি বদলে দিতে চাইছে বলে গুজব রটেছে। হোয়াটসঅ্যাপের এই গুজবটি দিনভর কাশ্মীর উপত্যকা, জম্মুতেও ছড়িয়েছে। তা নিয়ে কাশ্মীরিদের মধ্যে চাপা আতঙ্ক ও উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

Advertisement

যদিও রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক আগেই বারবার বলেছেন, ‘অযথা গুজবে কান দেবেন না। গুজবের দায়িত্ব সরকার নেবে না। সব কাজ ফেলে গুজবের পিছনে সরকারি কর্মী বা পুলিশের ছুটে বেড়ানো সম্ভব নয়। তবে গুজবের প্রধান উৎস চিহ্নিত করতে পারলে সরকার আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তিনি জানিয়েছেন, শ্রীনগরের লালচকে কেউ হাঁচলে বা কাশলে গুজব রটে সেখানে শক্তিশালী বোমা ফেটেছে। তাহলে বলুন কতবার গুজবের পিছনে দৌড়বে প্রশাসন?’

[আরও পড়ুন: জঙ্গি হামলার আশঙ্কা, অমরনাথ যাত্রা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত সরকারের

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ