সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোনা ও যে কোনও বিলাসবহুল সামগ্রী কেনাকাটার নজর আরও বাড়াচ্ছে কেন্দ্র। ৬ লক্ষ টাকার বেশি এই ধরনের জিনিস কিনলে এবার তা জানাতে হবে। রিপোর্ট করতে হবে ফিনান্সিয়াল ইনেটলিজেন্সি ইউনিট বা এফআইউ-কে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে এমনই জানা গিয়েছে।
[ রাম মন্দির তৈরিতে সমর্থন, পোড়ানো হল মুসলিম মহিলার বাড়ি ]
কালো টাকার রমরমা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে মোদি সরকার। বিশেষজ্ঞরা বলেন নোট বাতিল যার মধ্যে সবথেকে বিতর্কিত ও সাহসী পদক্ষেপ। তবে তারপরও দেশে কালো টাকার অর্থনীতি সমান তালে চলছে বলে গোয়েন্দাসূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই একাধিক ভুয়ো সংস্থা বা শেল কোম্পানিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের আর্থিক লেনদেনের তালিকাও তৈরি করেছে কেন্দ্র। কর দেওয়ার ক্ষেত্রে এখনও দেশের গরিষ্ঠসংখ্যক মানুষ সচেতন নন। উলটে কর কীভাবে ফাঁকি দেওয়া যায় সেই ফন্দি খুঁজতে ব্যস্ত বলে দীর্ঘ দিন এমন অভিযোগ শোনা যায়। এই মানসিকতা রুখতে এই সিদ্ধান্ত। সূত্রের খবর, ছ’লক্ষ টাকার বেশি লেনদেনে কেউ কোনও জিনিস কেনাকেটা করলে তা এফআইইউ-কে জানাতে হবে রিটেলারদের। তা সোনা হতে পারে বা কোনও বিলাসবহুল সামগ্রী। এই তথ্য সহায়তা করবে ইডি ও ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টকেও। মূলত দুটি দিক নিশ্চিত করা যাবে। এক, লেনদেন বৈধ কিনা। দ্বিতীয়ত, যিনি এই লেনদেন করছেন, তাঁর সঙ্গতি আছে কিনা। অর্থাৎ আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্র এই রিপোর্ট সহায়ক হবে।
[ কামরায় পোকার উৎপাতে তটস্থ যাত্রীরা, রঙিন কোচেই সমাধান খুঁজছে রেল ]
ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ টাকার বেশি নগদ লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দিতে হবে চেক বা ড্রাফট। এছাড়া পঞ্চাশ হাজার টাকার বেশি লেনদেন হলে অবশ্যই ক্রেতার প্যান কার্ড নম্বর জানানোরও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। গত বছরের আগস্ট মাসে সোনা ও রত্ন ব্যবসায়ীদের এই ধরনের রিপোর্ট জমা দেওয়ার একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেখানে কোনও উর্ধ্বসীমা উল্লেখ ছিল না। ফলে বিপাকে পড়ছিলেন ব্যবসায়ীরা। এবার তা দূর করতেই এই নয়া ব্যবস্থা আনতে চলেছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর এমনটাই। তবে কবে থেকে এই নিয়ম আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকরী হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।