সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকেই জঙ্গিদমন অভিযানে আরও কড়া হয়েছে কেন্দ্র। প্রতিদিনই কোনও না কোনও জঙ্গিকে গ্রেপ্তার নয় খতম করছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। উলটো দিকে জঙ্গিদের হামলা জেরে বিগত কয়েকমাসে শহিদ হয়েছে বেশ কয়েকজন ভারতীয় জওয়ান ও সেনা আধিকারিক। তবুও কমছে না জঙ্গিদের খতম করার প্রক্রিয়া। শনিবার সকালে যেমন দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রাল এলাকায় জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammad) একজন শীর্ষ নেতা-সহ তিন জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে অভিযান চালালেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। পাকিস্তানের নাগরিক ওই জইশ জঙ্গির নাম কোয়াসি ইয়াসির বলে জানা গিয়েছে।
#UPDATE Jammu & Kashmir Police on Awantipora encounter: Top Jaish-e-Mohammed (JeM) commander and 2 other hardcore terrorists reportedly trapped. Encounter is going on. https://t.co/cx8S2JULXA
— ANI (@ANI) January 25, 2020
ত্রাল প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে খবর আসে ত্রালের একটি এলাকায় কাশ্মীরে নাশকতা ছড়ানোর অন্যতম কারিগর ইয়াসির-সহ তিন জইশ জঙ্গি লুকিয়ে আছে। এরপর সেখানে গিয়ে তল্লাশি শুরু করেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। শনিবার সকালে তল্লাশি চালানোর সময় আচমকা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। এরপরই শুরু হয় উভয়পক্ষের গুলির লড়াই। পাশাপাশি গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালাতে শুরু করেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তবে এখনও পর্যন্ত ওই জঙ্গিদের গ্রেপ্তার বা খতম করা যায়নি। যদিও অসমর্থিত সূত্রে খবর, নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে এখনও পর্যন্ত এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। একজন জওয়ানও জখম হয়েছেন।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তান-বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিমদের তাড়ানো উচিত, মন্তব্য শিব সেনার ]
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরে কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় নাশকতামূলক কাজকর্ম চালাচ্ছিল ইয়াসির। কাশ্মীরিদের জঙ্গি হওয়ার জন্য উসকানিও দিচ্ছিল। গত বছরের আগস্ট মাসে পুলওয়ামা জেলার একটি জঙ্গল এলাকায় গুজ্জর সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তি খুন করেছিল সে। সেই কারণে তাকে খুঁজছিল পুলিশ। সম্প্রতি খবর আসে, ২৬ জানুয়ারি দিন ভূস্বর্গে ফিঁদায়ে হামলার ছক কষছে সে। এর জন্য বুরহান শেখ নামে একজনকে ট্রেনিংও দিচ্ছে।