Advertisement
Advertisement

Breaking News

কানপুরে লকডাউনে বিয়ে

ত্রাণ দিতে গিয়েই প্রেম, দুস্থ মেয়েকে জীবনসঙ্গী করলেন যুবক

ঠিক যেন সিনেমার মতো! সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই হল বিয়ে।

Kanpur driver finds life partner in beggars' file, lock down love story
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:May 27, 2020 6:26 pm
  • Updated:May 27, 2020 6:26 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউন। ঘরে খাবার নেই। প্রায়ই রাস্তার ওদিকটায় দুস্থদের ভীড় লেগে থাকে। সেখানেই রোজ খাবার দিতে যেত ছেলেটি। ওই অসহায় মুখগুলির ভিড়েই হঠাৎ একটি মুখ খুব চেনা হয়ে উঠল। মনে হল কত দীর্ঘকাল ধরে তাকে চেনে সে। মেয়েটিও ওখানেই বসত। বাকিদের সঙ্গে। খাবারের আশায় হাত বাড়িয়ে অপেক্ষা করত। ত্রাণ দিতে গিয়েই আলাপ হল ওই মেয়েটির সঙ্গে ছেলেটির। বন্ধুত্ব হল। প্রেমও হল। আর সেই প্রেমই সাত পাকে বাঁধল ওদের। আজ্ঞে! ভিক্ষে করতে বসা ওই মেয়েটিই এখন ছেলেটির স্ত্রী।

আর কোনও দিন মেয়েটিকে ভিক্ষে করতে হবে না। পেটের খিদেয় বসতে হবে না রাস্তার ওপারে। এখন ও সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে ছেলেটির হাত ধরে যাবে। ওর মাকেও আর বসতে হবে না ভিক্ষে করতে। কারণ, মেয়ে এখন খানিক হলেও অবস্থাসম্পন্ন ঘরের বউমা। ইত্যাবধি শুনে গল্প মনে হলেও ঘটনা সত্যি। ঘটেছে কানপুরে। ছেলেটির নাম অনিল। পেশায় গাড়িচালক। আর ওই মেয়েটি নীলাম। লকডাউনেই আলাপ, বন্ধুত্ব, প্রেম। আর সেই থেকে বিয়ে।

Advertisement

নীলামের বাবা মারা গিয়েছে বছর খানেক আগে। দাদা আর বউদি খুব করে পেটাত। এক রাতে বাড়ি থেকেই বের করে দিল নীলাম আর ওর মা’কে। মা এদিকে প্যারালাইসড। ওদের দু’জনের মাথা গোঁজার ঠাঁই হল না। খোলা রাস্তার পাশেই কোনও মতে দিন গুজরান হয়ে যেত। সমুত্ত মেয়ে। দিনকালও ভাল নয়! তবুও কোনও মতে খাবারটা এদিক-ওদিক করে রাস্তার দোকানে কাজ করে জুটে যাচ্ছিল। কিন্তু লকডাউনে চরম বিপদে পড়ল মা-মেয়ে। ভিক্ষে করা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। অগত্যা কানপুরের কাকাদেওয়ের নীর-শীর ক্রসিংই ঠাঁই হল ওদের! এভাবেই আলাপ হল অনিলের সঙ্গে নীলামের। সে রোজ খাবার দিতে যেত দুস্থদের। নীলামকে দেখে ভাল লেগে যায়। পরের দিকে নিজে হাতে রেঁধে মা-মেয়ের জন্য খাবার নিয়ে যেত অনিল। ব্যাস! বিয়ের প্রস্তাব দিয়েই বসল অনিল। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের বাড়তে পারে লকডাউনের মেয়াদ! ‘মন কি বাত’-এ ঘোষণার সম্ভাবনা]

সম্প্রতি কানপুরের লর্ড বুদ্ধা আশ্রমে নীলম-অনিলের চার হাত এক হয়েছে। লকডাউনের নিয়ম মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই বিয়ে হল। অনিলের বন্ধু লাল্টা প্রসাদ, যিনি নিজেও খাবার দিতে যেতেন, তিনিই রাজি করালেন বন্ধুর বাবাকে এই বিয়ের জন্য মত দিতে। 

বিগত দু’মাসের এই লকডাউন যে মানুষকে শুধু তিক্ততার স্বাদই দেয়নি, বরং কারও কারও ভাঙা সম্পর্কও জোড়া লাগিয়েছে, কিংবা নতুন করে সম্পর্কও গড়ে তুলেছে, নীলাম আর অনিলই বোধহয় তার জ্বলন্ত উদাহরণ।

[আরও পড়ুন: লকডাউনে স্পর্শে ‘না’, অনলাইনে পেশা বাঁচানোর চেষ্টা বেঙ্গালুরুর যৌনকর্মীদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ