Advertisement
Advertisement

Breaking News

অবশেষে পদোন্নতি, আর ট্রাফিক সামলাবেন না কারগিলের নায়ক সতপাল

চাকরির প্রস্তাব পেলেন সতপালের ছেলেও।

Kargil war hero working as traffic cop gets promotion
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 27, 2019 12:43 pm
  • Updated:July 27, 2019 12:43 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গম তুষারাবৃত কারগিল পাহাড়ে সবসময়ই রুদ্ররূপে থাকে প্রকৃতি। অতলস্পর্শী খাদে লুকিয়ে থাকে মৃত্যু। এহেন জায়গায় একাই চার অনুপ্রবেশকারী পাক সেনাকে হাতাহাতি লড়াইয়ে খতম করেছিলেন তিনি। তারপর কেটে গিয়েছে বহু বছর। পাননি যোগ্য সম্মান। ‘বীর চক্র’ পদকপ্রাপ্ত সেই সেনা জওয়ান সতপাল সিং এতদিন পাঞ্জাবের সাঙ্গরুর জেলায় ট্রাফিক সামলাতেন। এই খবর জানতে পেরেই সতপালকে যোগ্য মর্যাদা দিতে উদ্যোগী হন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। 

[আরও পড়ুন: পেয়েছিলেন বীর চক্র, কারগিল যোদ্ধা এখন ট্রাফিক সামলান]

Advertisement

শুক্রবার, কারগিল বিজয় দিবসে সতপালকে দু’টি পদোন্নতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশে এবার তাঁকে দু’টি পদোন্নতি দিয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর করা হয়েছে। ২০১০ সালে সতপালের নিয়োগের সময় তাঁর অবদানকে অবজ্ঞা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলে অকালি দল-বিজেপি জোট সরকারের সমালোচনাও করেন অমরিন্দর। সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর পাঞ্জাব পুলিশে সিনিয়র কনস্টেবল হিসেবে যোগ দেন সতপাল। এবার তাঁকে দু’টি পদোন্নতি দিয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর করা হয়েছে। অপারেশন বিজয়ের সময় দ্রাস সেক্টরে পোস্টিং ছিল সতপালের। টাইগার হিল অভিযানে অংশ নেন তিনি। পাক সেনার ক্যাপ্টেন কারনাল শের খান-সহ মোট তিন পাক জওয়ানকে হত্যা করেন সতপাল। পরে জানা যায়, সতপালের হাতে যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুর জন্য শের খানকে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বীরত্ব সম্মান নিশান-এ-হায়দার পদকে ভূষিত করা হয়।

Advertisement

কেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে যানজট নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি? এই প্রশ্নের উত্তরে সতপাল জানিয়েছিলেন, ‘হয়তো আমার সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল। পদকের জন্য আমি আলাদা কোনও সুবিধা পাইনি। প্রাক্তন সেনাকর্মীর কোটায় চাকরি পেয়েছিলাম।’ নিজের শিক্ষিত ছেলের চাকরি না হওয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এবার তাঁর ছেলেকে চাকরির প্রস্তাব দিয়েছে বেশ কয়েকটি সংস্থা।অনেকেই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং নিজে সেনায় কর্মরত ছিলেন বলে সতপালের ক্ষোভ বুঝতে পেরেছেন।

[আরও পড়ুন: ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম… কি আর গাইতে পারব?’ সংশয়ে আশা ভোঁসলে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ