Advertisement
Advertisement

কংগ্রেস-জেডিএস জোটকে ‘অপবিত্র’ বলে কটাক্ষ অমিতের, পালটা তোপ কংগ্রেসের

আক্রমণ, পালটা আক্রমণে এখনও তুঙ্গে কর্ণাটকের নাটক।

 Karnataka delivered an anti-Congress mandate: Shah, Opposed Congress
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 21, 2018 7:08 pm
  • Updated:May 21, 2018 7:08 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ কর্ণাটকে নির্বাচনী নাটক শেষের দুদিন পরে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ক্ষমতা ধরে রাখতে কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস ‘অপবিত্র জোট’ গড়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। অমিত শাহের সাংবাদিক সম্মেলনের পরেই তাঁকে পালটা তোপ দাগল কংগ্রেস। কর্ণাটকে বিজেপি যা করেছে তা লজ্জাজনক বলে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস মুখপাত্র আনন্দ শর্মা।

[মোদির রাজ্যে দলিত যুবককে পিটিয়ে খুন, ভাইরাল নৃশংস ভিডিও]

Advertisement

একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে কর্ণাটকে আত্মপ্রকাশ করার পরেও সেখানে সরকার ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী পদে ইয়েদ্দুরাপ্পা শপথ নেওয়ার পরেও গরিষ্ঠতা প্রমাণ করে ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেনি বিজেপি। ফলে পদত্যাগ করতে হয় দুদিনের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদ্দিকে। বুধবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করবেন জেডিএস নেতা কুমারস্বামী। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেই কর্ণাটকে সরকার চালাবেন তিনি। জেডিএস ও কংগ্রেসের জোটকে সরাসরি আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি জানান, কর্ণাটকের মানুষের রায় তাদের সঙ্গে নেই। মানুষ তাদেরকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী একটি আসনে পরাজিত হয়েছেন এবং একটি আসন থেকে সামান্য ভোটে জয় লাভ করেছেন। বেশিরভাগ মন্ত্রীর জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। কেবল কংগ্রেসই নয়, শাহের তোপের মুখে পড়েছে জেডিএস। তাদের ৩৭ টি আসন পাওয়াকে কটাক্ষ করেন অমিত শাহ। তবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সমালোচনাকে আমল দিতে নারাজ কংগ্রেস। বরং পালটা দিয়ে তারা বলছে, ভোট শতাংশের হারে গেরুয়া শিবিরের থেকে অনেক এগিয়ে কংগ্রেস-জেডিএস জোট। কর্ণাটক নির্বাচনে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৩৬.২ শতাংশ। সেখানে কংগ্রেস পেয়েছে ৩৮ শতাংশ ও জেডিএস পেয়েছে ১৮.৩ শতাংশ। অর্থাৎ, দুদলের মোট ভোট বিজেপির থেকে বেশি। ঠিক এই বিষয়ে উল্লেখ করেই গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দেন কংগ্রেস মুখপাত্র আনন্দ শর্মা।

Advertisement

[মুখোমুখি মোদি-পুতিন, নজর অর্থনীতি ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে]

ভোট পরবর্তী সময়ে তাদের বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচার যে অভিযোগ কংগ্রেস করেছিল তাও উড়িয়ে দিয়েছেন অমিত শাহ। সমালোচনা করে তিনি বলেন, আদালতের রায়কে বিব্রত করার জন্যই এমন অভিযোগ ছড়ান হচ্ছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের যুক্তিতে কর্ণাটকে বিজেপিকে প্রথম সরকার গড়ার অনুমতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল বাজুভাই ভালা। যা নিয়ে দেশজুড়ে উঠেছিল প্রশ্নের ঝড়। কারণ গোয়া-মেঘালয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েও সেখানে কংগ্রেসকে সরকার গঠনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। সেই প্রশ্নের উত্তর সুকৌশলে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, ওই রাজ্যগুলিতে সরকার গঠনের জন্য কখনও ইচ্ছাই প্রকাশ করেনি কংগ্রেস। ফলে রাজ্যপালের কাছে অন্য কোনও পথ ছিল না। কিন্তু বিজেপির সর্ববারতীয় সভাপতির সেই যুক্তি মানতে নারাজ কংগ্রেস। তাদের মুখপাত্র আনন্দ শর্মা কটাক্ষের সুরে জানান, নিজেদের ইচ্ছামতো নিয়ম তৈরি করছে বিজেপি। যে রাজ্যে তাদের যেমন সুবিধা তেমনই নিয়ম তৈরি করা হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ