সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে প্রত্যেক মানুষের একমাত্র ভরসা চিকিৎসকরাই (Doctor)। তাঁরাই একেবারে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে অদৃশ্য ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন। আক্রান্তও হচ্ছেন অনেকে। তবু লড়াই থামছে না। কিন্তু তাঁরাই যদি বেতনের অভাবে প্রিয়জনদের মুখে খাবার জোগাতে না পারেন। তবে কী সত্যিই আর প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করার কোনও মানে হয়? তাই অভিমানে চব্বিশ বছরের চাকরি ছেড়ে অটো চালাচ্ছেন বেঙ্গালুরুর এক চিকিৎসক।
বল্লারি জেলায় গত ২৪ বছর ধরে স্বাস্থ্য এবং পরিবার মন্ত্রকের অধীনে চাইল্ড হেলথ অফিসার পদে কর্মরত রবীন্দ্রনাথ এমএইচ। গত ১৫ মাস ধরে বেতন পাননি তিনি। প্রথম প্রথম সঞ্চিত অর্থ দিয়ে সংসার চালাচ্ছিলেন তিনি। বর্তমানে তাঁর আর কোনও গতি নেই। আয় না থাকায় প্রিয়জনদের মুখে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন জোগাতে হিমশিম অবস্থা তাঁর। তাই বাধ্য হয়ে দাভানগর এলাকায় অটো চালাচ্ছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: সম্পত্তি বেচার অভিযান শুরু করেছেন মোদি, LIC’র ‘বেসরকারিকরণ’ নিয়ে তোপ রাহুলের]
কিন্তু কেন এমন দুরবস্থা তাঁর? বছর দুয়েক আগে তিনি এক আইএএস (IAS) আধিকারিকের কাছে বদলির দাবি জানান। তবে সেই আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। বর্তমানে তিনি বল্লারি জেলার প্রশাসনিক কার্যভার নিয়েছেন। তাই সম্ভবত তিনি ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নানা বেআইনি কাজ করার অভিযোগ তুলেছেন। সে ঘটনার জল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুন্যাল পর্যন্ত গড়ায়। আর তার রায়েই পুনর্বহাল করা হয় তাঁকে। তবে কাগজপত্রে কিছু ত্রুটি থাকার ফলে গত ১৫ মাস ধরে বেতন আটকে রয়েছে ওই চিকিৎসক।
তবে প্রাইভেট ক্লিনিক খুলছেন না কেন তিনি? সে বিষয়ে ওই চিকিৎসক বলেন, “লোন নিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিক খোলার চেষ্টা করছি। আদতে হবে কি না, তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় রয়েছি।”