সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুবাই থেকে কর্ণাটক পৌঁছানোর পর ম্যাঙ্গালোর বিমানবন্দরের প্রাথমিক পরীক্ষায় এক যাত্রীর উপসর্গে ‘করোনা সংক্রমণে’র সন্দেহ দানা বেঁধেছিল। সেই কারণেই দুবাই ফেরত ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা । কিন্তু সেসব তোয়াক্কা না করেই বিমানবন্দর থেকে উধাও কর্ণাটকের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। হন্যে হয়ে তাঁকে খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন। বাড়ির বাইরে ব্যবস্থা করা হয়েছে পাহারার। কিন্তু কেন চম্পট দিলেন ওই ব্যক্তি? তা ভেবেই কুলকিনারা পাচ্ছেন না কেউ।
করোনা আতঙ্কে স্তত্র গোটা বিশ্ব। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০ টি দেশে থাবা বসিয়েছে এই ভাইরাস। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এর মধ্যে ভারতের আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রেল স্টেশন, বিমানবন্দরের মতো বিভিন্ন জায়গাতেই যাত্রীদের সচেতনতা বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরে অবতরণের পরই শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে যাত্রীদের। নিয়ম মেনে ম্যাঙ্গালোর বিমানবন্দরেও যাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। এদিন দুবাই থেকে আসা একটি বিমানের যাত্রীদের পরীক্ষা করার সময় এক ব্যক্তির শরীরে করোনার উপসর্গ লক্ষ্য করেন চিকিৎসকরা। এরপরই ব্যক্তিকে অবিলম্বে এলাকার একটি হাসপাতালে ভরতির নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো হাসপাতালের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয় বিমানবন্দরের তরফে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, কিন্তু ওই হাসপাতালে খবর নেওয়া হলে জানা যায় যে ওই ব্যক্তি সেখানে যাননি। অর্থাৎ বিমানবন্দর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু কোথায় থাকতে পারেন? বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে হদিশ না মেলায় পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানান স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। এরপরই ওই ব্যক্তির বাড়ির সামনে প্রহরীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বাড়ি ফিরতেই তাঁকে ভরতি করা হবে হাসপাতালে। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন কর্ণাটক প্রশাসন। ওই ব্যক্তি যদি সত্যিই করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করছে স্বাস্থ দপ্তর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.