Advertisement
Advertisement

Breaking News

Karnataka

শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের ছায়া, বাবাকে খুনের পর ৩২ টুকরো করে কুয়োয় ফেলল ছেলে!

গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।

Karnataka Man Chops Up Father's Body Into 32 Pieces and Dumps In Borewell | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:December 13, 2022 4:39 pm
  • Updated:December 13, 2022 4:39 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতাকে মনে করাল কর্ণাটকের (Karnataka) এই খুনের ঘটনা। লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে বাবাকে হত্যার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, খুনের পর দেহ লোপাটে মৃতদেহের ৩২ টুকরো করে ফেলে যুবক। এরপর দেহাংশ পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি কুয়োতে ফেলে দেয়। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবককে। তদন্তে নেমে মাটি খুঁড়ে দেহাংশ উদ্ধার করছে পুলিশ।

কর্ণাটক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কুড়ি বছর বয়স অভিযুক্তের। নাম বিঠালা কুলালি। বাবা পরশুরাম কুলালির (৫৩) সঙ্গেই থাকত। দুই ভাইয়ের মধ্যে বিঠালা কনিষ্ঠ। মাকে নিয়ে দাদা আলাদা থাকেন। পরশুরাম মদ খেয়ে প্রতি দিন বাড়িতে অশান্তি করতেন। যার জেরে বড় ছেলেকে নিয়ে অন্যত্র চলে যান স্ত্রী। বিঠালা বাবার সঙ্গে থাকলেও, তাঁর দেখভাল করলেও মাঝেমাঝে ঝামেলা হত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘গুয়াহাটি নয়, মেঘালয়কে শাসন করবে মেঘালয়ই’, শিলংয়ের সভায় পরিবর্তনের ডাক অভিষেকের]

গত ৬ ডিসেম্বর চরমে ওঠা ঝামেলা। এরপরই রাগের বশে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে বাবাকে হত্যা করে বিঠালা। দেহ লোপাটের জন্য মৃতদেহের ৩২ টুকরো করে। তার পর সেই টুকরোগুলি বাগালকোট জেলার মুধোলে এলাকায় মানতুর বাইপাসের কাছে একটি কুয়োয় ফেলে দেয়। এদিকে পরশুরামের হাঁকডাক না পেয়ে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরা বড় ছেলে ও পরশুরামের স্ত্রীকে বিষয়টি জানান। স্ত্রী ও বড় ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। বিঠালাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে খুনের কথা সে জানায়। বর্তমানে কুয়ো খুঁড়ে সেই দেহাংশ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানের মুখপাত্রের মতো আচরণ’, POK নিয়ে মন্তব্যের জেরে ভারতের তোপ OIC প্রধানকে]

প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১৮ মে দিল্লির মেহেরৌলিতে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে তাঁর প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। খুনের পর লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরো করে আফতাব। প্রথমে তা রেখে দেয় ফ্রিজে। এরপর দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় তা ফেলতে থাকে সে। আফতাবকে ভালবেসে পরিবার, চাকরি, শহর ছেড়ে দিল্লিতে চলে এসেছিল তরুণী। যদিও তাঁর পরিণতি হয় মর্মান্তিক। এই ঘটনায় লাভ জেহাদের অভিযোগ তুলেছেন হিন্দুত্ববাদীরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ