সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিজাব বিতর্কের পর এবার বাইবেল (Bible) বিতর্ক কর্ণাটকে (Karnataka)। এই ঘটনার কেন্দ্রেও শিক্ষাকেন্দ্র। ক’দিন আগেই বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) একটি স্কুলের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন অভিযোগ তোলে, সেখানে জোর করে পড়ুয়াদের বাইবেল পড়ানো হচ্ছে। এরপর ওই অভিযোগ খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু করে বিজেপি শাসিত রাজ্যটির শিক্ষাদপ্তর। ইতিমধ্যে স্কুলটিকে এই বিষয়ে কারণ দর্শাতে (Show Cause) বলা হয়েছে। এর মধ্যেই গীতা ও বাইবেল নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক উসকে দিলেন কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী। বুধবার তিনি বলেন, গীতা সব কিছুর ঊর্ধ্বে, গীতার সঙ্গে বাইবেলকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়।
উল্লেখ্য, সোমবার ২৫ এপ্রিল বাইবেল সংক্রান্ত ওই অভিযোগ ওঠে বেঙ্গালুরুর ক্লারেন্স হাইস্কুলের বিরুদ্ধে। হিন্দু জনজাগৃতি সমিতি অভিযোগ করে, স্কুলটি সব ছাত্রের উপরেই বাইবেল চাপিয়ে দিচ্ছে। পড়ুয়াদের বাইবেল নিয়ে যাওয়া স্কুলে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই বিষয়ে অভিভাবকদের অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করতেও বলা হয়। যদিও বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হওয়ার পরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দেয়, “তাদের স্কুলের একটি নীতির বিরুদ্ধে কেউ কেউ আপত্তি করেছে। তারা আইন মেনে চলবেন। দেশের আইন ভঙ্গ করবেন না।” এই বিষয়েই এদিন মন্তব্য করেন কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ।
নাগেশ বলেন, “বাইবেল ও কোরান ধর্মীয় গ্রন্থ। ভগবত গীতাকে এর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না। ভগবত গীতা ধর্মীয় গ্রন্থ নয়। এটি কেবল ধর্মীয় আচারের কথা বলে না। প্রার্থনা কীভাবে করতে হয়, সে সব বলা নেই এখানে। এই বই এসবের অনেক ঊর্ধ্বে।” ফলে বাইবেল ও কোরানকে স্কুলে পড়ানো যাবে না। এইসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানান, “আমরা পড়ুয়াদের নৈতিক বিজ্ঞানের পাঠক্রমে এমন কিছু অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছি, যা তাদের নৈতিক বোধকে উন্নত করবে।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর শো-কজ নোটিস পাঠিয়েছিল অভিযুক্ত বেঙ্গালুরুর ক্লারেন্স হাইস্কুলকে। অন্যদিকে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটসও (NCPCR) এই বিষয়ে তদন্তের দাবি করেছে। তাদের বক্তব্য, ছাত্রদের উপর বাইবেল চাপিয়ে দিয়ে সংবিধানের ২৫ নং ধারা লঙ্ঘন করেছে স্কুল। তারাও স্কুলটির থেকে সাত দিনের মধ্যে সন্তোষজনক উত্তর চেয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.