Advertisement
Advertisement
সূর্যগ্রহণে রোগমুক্তি

সূর্যগ্রহণে রোগমুক্তির আশা! শিশুদের ছাগলের মল মেশানো মাটিতে পুঁতল বাবা-মা

অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের কালবুর্গি জেলায়।

Karnataka parents bury diffabled kids neck-deep in goat dung to cure them

ঘটনাস্থলের ছবি

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:December 26, 2019 4:43 pm
  • Updated:December 27, 2019 9:09 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ (Solar Eclipse) দেখার জন্য অনেক অভিভাবকই সন্তানদের হাতে বিশেষ কাঁচের চশমা তুলে দিয়েছেন। অনেকে আবার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে গিয়েছেন কাছের জ্যোর্তিবিজ্ঞান কেন্দ্রে। যাতে সেখান থেকে সূর্যগ্রহণ দেখতে ও বিষয়টি সম্পর্কে বুঝতে সুবিধা হয় সবার। দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে একজন সাধারণ মানুষ পর্যন্ত যখন সবাই সূর্যগ্রহণ দেখতে ব্যস্ত। ঠিক তখনই কর্ণাটকের কালবুর্গি এলাকায় অমানবিক ঘটনা ঘটালেন কয়েকজন অভিভাবক। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তানদের স্বাভাবিক হওয়ার আশায় গলা পর্যন্ত ছাগলের মল মেশানো মাটিতে পুঁতে রাখলেন। খবর পেয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা গিয়ে ওই শিশুদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করেন।

প্রাচীনকাল থেকেই সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মনে অনেক ধরনের কুসংস্কার আছে। কোথায় গ্রহণের আগে রান্না করা খাবার ফেলে দেওয়ার নিয়ম তো কোথায় গ্রহণের সময় নিজের আশ্রয় থেকে বেরোন না অনেকেই। তবে একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে বিভিন্ন ধরনের চশমা পড়ে সূর্যগ্রহণ দেখার লোকও যে কম নেই তা এবারও প্রমাণ হয়েছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও গ্রহণকে কেন্দ্র করে মানুষের মনে গড়ে থাকা কুসংস্কার কিছুতেই কম হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার বছরের শেষ সূর্যগ্রহণে তারই প্রমাণ মিলল। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কয়েকটি শিশুকে গলা পর্যন্ত ছাগলের মল মেশানো মাটিতে পুঁতে রাখলেন তাদের বাবা-মা। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের কালবুর্গি জেলার তাজ সুলতানপুর গ্রামে। তাঁদের বিশ্বাস ছিল, গ্রহণের সময় সন্তানদের মাটিতে পুঁতে রাখলে তাদের শারীরিক সমস্যা দূর হবে। অন্য শিশুদের মতোই স্বাভাবিক হয়ে উঠবে তারা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রবল শৈত্যপ্রবাহে জবুথবু উত্তর ভারত, মাঝ পৌষেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে]

 

Advertisement

বিষয়টি জানতে পেরেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয় জনবাদী মহিলা সংগঠনের প্রধান অশ্বিনী মান্দানকার। তারপর ওই শিশুদের মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি যখন ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছেছিলাম তখনও তিনটি শিশুকে পুঁতে রাখা হয়েছিল। তার মধ্যে সঞ্জনা নামে চার বছরের একটি মেয়ের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সে ঠিকভাবে বসতেও পারছিল না। পরে অচৈতন্য হয়ে পড়ে।’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ