Advertisement
Advertisement

ফলাফল যাই হোক, লিঙ্গায়ত ভোট পকেটে পুরে বাজিমাত বিজেপির

কংগ্রেসের চাল পালটে দিয়ে লিঙ্গায়ত মন পেতে সক্ষম গেরুয়া শিবির।

Karnataka: This is why Congress’s Lingayat card fails
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 15, 2018 3:56 pm
  • Updated:May 15, 2018 3:56 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলার নির্বাচনী বৈতরণি টপকাতে সমস্ত রাজনৈতিক দল যেমন ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংকের উপরে নির্ভর করে, তেমনই কর্ণাটকের মসনদে কোন দল বসবে তার অনেকটাই নির্ধারণ করে রাজ্যের ১৭ শতাংশ লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ের উপরে। মঙ্গলবার সকাল থেকে কর্ণাটক নির্বাচনের ফলাফলের যা ট্রেন্ড তাতে এখনও স্পষ্ট নয় কর্ণাটকের মসনদে কে বসতে চলেছে? দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ভেঙে দেবগৌড়ার জেডিএস-এর সঙ্গে জোট করে কর্ণাটকের সিংহাসনে কী আবারও ফিরবে কংগ্রেস? নাকি দাক্ষিণাত্যের রাজনীতিতে প্রথম থাবা বসাবে গেরুয়া শিবির? দোলাচলে রাজনৈতিক মহল। তবে একথা তাঁরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, চেষ্টা করেও রাজ্যের ১৭ শতাংশ লিঙ্গায়ত ভোট ব্যাংককে তেমন একটা কাজে লাগাতে পারেননি সিদ্দারামাইয়া ও কংগ্রেস।

[  বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত! কুমারীত্বের অগ্নিপরীক্ষা ছাড়াই হল কঞ্জরভাট সম্প্রদায়ের বিয়ে ]

Advertisement

উত্তর কর্ণাটক বা হায়দরাবাদ কর্ণাটক ও মধ্য কর্ণাটকের কিছু অংশে এই লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের আধিপত্য বেশি। ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় এই অংশেই রয়েছে ১০০টি আসন। আর সেখানেই কংগ্রেসকে অনেক পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে পদ্মশিবির। ২০১৩-বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল ইয়েদুরাপ্পার। পৃথক দল গড়ে ২০১৩-র কর্ণাটক নির্বাচনে লড়াই চালিয়েছিলেন তিনি। ফল ভুগতে হয়েছিল উভয়পক্ষকেই। এবার সেই ভুল করেনি মোদি-শাহ জুটি। লিঙ্গায়ত ইয়েদুরাপ্পাকে পদ্ম শিবিরে আবার ফিরিয়ে এনে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করে কংগ্রেসের লিঙ্গায়ত চালে জোর ধাক্কা দিয়েছিলেন তাঁরা। লিঙ্গায়ত সেন্টিমেন্টকে উসকে দিয়ে ঘোষণা করেছিলেন, বিজেপিকে ভোট দিলেই লিঙ্গায়ত মুখ্যমন্ত্রী উপহার পাবেন রাজ্যবাসী। জনমত সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছিল এর ফলে এক ঝটকায় ২০১৩-র তুলনায় ২০১৮-তে বিজেপির প্রতি তিন শতাংশ লিঙ্গায়েত মানুযের ভরসা বেড়ে গিয়েছিল।

Advertisement

[  বর্ষার আগেই হবে ট্রায়াল, প্রতিরক্ষা ময়দানে এবার নামতে চলেছে ‘অগ্নি ৫’ ]

কর্ণাটকের ভোটকে মাথায় রেখে গত মার্চ মাস থেকে লিঙ্গায়ত কার্ড খেলতে শুরু করেছিল কংগ্রেসের সিদ্দারামাইয়া সরকার। লিঙ্গায়তদের হিন্দু ধর্ম থেকে পৃথক একটা আলাদা ধর্মের স্বীকৃতি দিয়েছিল তারা। তবে এক্ষেত্রে বিতর্ক ছিল লিঙ্গায়ত ও বীরশৈবদের একই নামে চিহ্নিত করা হবে, নাকি পৃথক নাম দেওয়া হবে? কারণ ঐতিহাসিক দিক থেকে দুই সম্প্রদায় আলাদা রীতিতে বিশ্বাসী। কংগ্রেসের লিঙ্গায়ত চালকে পাল্টা দিয়ে বিজেপি অভিযোগ করেছিল, ধর্মভিত্তিক বিভাজনের রাজনীতি করছে কংগ্রেস। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ইয়েদ্দুরাপ্পা নিজে একজন লিঙ্গায়ত হওয়ায়। তাঁকে আটকাতেই কংগ্রেসর এটা রাজনৈতিক চাল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ