Advertisement
Advertisement

Breaking News

Karnataka

সবার আগে সন্তানদের লেখাপড়া, টিভি কিনতে নিজের মঙ্গলসূত্রই বন্ধক দিলেন মা

টিভি চ্যানেলের বিশেষ ক্লাসই এখন ভরসা।

Karnataka woman mortgages mangalsutra to buy TV for her children’s classes
Published by: Abhisek Rakshit
  • Posted:August 1, 2020 3:43 pm
  • Updated:August 1, 2020 3:43 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:‌ দরিদ্র পরিবার। ঘরে টিভি পর্যন্ত নেই। এদিকে করোনা (‌Coronavirus)‌ সংক্রমণ রুখতে বন্ধ স্কুল! পড়াশোনার জন্য‌ ভরসা অনলাইন ক্লাস বা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের বিশেষ ক্লাস। ‌স্কুলের শিক্ষকরাও জানান, সন্তানদের পড়াতে টিভি কেনা প্রয়োজন। তাতে স্কুল বন্ধ থাকলেও ক্লাস করতে পারবে তারা। কিন্তু টিভি কেনার যে অর্থ নেই! টিভি কিনতে তাই নিজের মঙ্গলসূত্রটাই বন্ধক দিলেন কস্তুরি চালাভাদি নামে এক মহিলা। ঘটনাটি কর্ণাটকের (Karnataka) নারগুন্দ তালুকের রাড্ডার নাগানুর গ্রামের। যদিও খবরটি সামনে আসতেই মহিলার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন।

[আরও পড়ুন: রাম মন্দিরের ভূমিপুজোয় আমন্ত্রিত উমা ভারতী, এখনও ডাক পেলেন না আডবানী-জোশী!]

করোনার কারণে বন্ধ স্কুল–কলেজ। অনলাইন ক্লাসই একমাত্র ভরসা। এছাড়া দূরদর্শনেও (‌Doordarshan)‌ পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ক্লাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এই খবরটিই কানে আসে চার সন্তানের মা কস্তুরির। কিন্তু সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। স্বামী দিনমজুর। তবে লকডাউনের (Lockdown) কারণে সেই কাজও বন্ধ। তাই অগত্যা সন্তানদের পড়াশোনার জন্য নিজের ১২ গ্রাম সোনার মঙ্গলসূত্রটি বন্ধক দিয়ে একটি নতুন টিভি কিনে নিয়ে আসেন মহিলা। যাতে সন্তানরা সহজেই দূরদর্শনের বিশেষ ক্লাসে যোগ দিতে পারে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বাক স্বাধীনতার পরিপন্থী’, আদালত অবমাননার আইন বাতিলের দাবিতে মামলা সুপ্রিম কোর্টে]

এদিকে, খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উপস্থিত হন আধিকারিকরাও। এমনকী যে ব্যক্তির কাছ থেকে ওই মহিলা টাকা ধার করেছিলেন, তিনিও মঙ্গলসূত্রটি ফেরত দিয়ে দেন। পাশাপাশি বলেন, যখন সামর্থ্য হবে, তখনই যেন ওই মহিলা ধার শোধ করেন। এদিকে, ওই পরিবারের দুর্দশার কাহিনি শুনে এগিয়ে আসেন আরও অনেকে। স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক (MLA‌)‌ জামির আহমেদ ৫০ হাজার টাকা এবং রাজ্যের মন্ত্রী (Minister) সি সি প্যাটেল ২০ হাজার টাকাও পাঠান। পরবর্তীতে গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে ওই মহিলা বলেন, “ছোটদের জন্য দূরদর্শনে বিশেষ ক্লাস হচ্ছে। কিন্তু আমাদের ঘরে টিভি ছিল না। আমাদের সন্তানদের অন্যের বাড়ি যেতে হত। এরপর শিক্ষকরা টিভির ক্লাসের কথা জানান। তারপরই সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে টিভি কেনার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু কেউ টাকা ধার না দেওয়ার জন্যই মঙ্গলসূত্রটি বন্ধক দিতে হয়।”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ