Advertisement
Advertisement

Breaking News

কাঠুয়া গণধর্ষণ: নিজেদের নির্দোষ দাবি করে নার্কো টেস্টের আরজি অভিযুক্তদের

পরবর্তী শুনানি ২৮ এপ্রিল।

Kathua rape: 8 accused plead innocence, demand Narco Test
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 17, 2018 9:21 am
  • Updated:November 20, 2018 6:26 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করল কাঠুয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের আট অভিযুক্ত। সোমবার, জম্মুর সেশন কোর্টে শুরু হয় দেশ জুড়ে আলোড়ন ফেলা এই মামলার শুনানি। এদিন আদালতে নিজেদের নিরপরাধ দাবি করে ‘লাই ডিটেক্টর টেস্ট’-এর দাবি জানায় সাত অভিযুক্ত। এছাড়াও আদালতে জামিনের আবেদন জানায় নাবালক অষ্টম অভিযুক্ত।

[কাঠুয়ার ছায়া এবার হরিয়ানায়, ধর্ষণ করে খুন ৮ বছরের শিশুকন্যাকে]

Advertisement

 এদিন আদালত চত্বরে ভিড় জমায় জনতা। হলের ভিতর ও বাইরে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে সজাগ ছিল প্রশাসন। শুনানি শুরু হতেই তাঁদের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে বলে দাবি করে অভিযুক্তরা। সত্যি-মিথ্যা যাচাই করতে আদালত তাদের ‘নার্কো টেস্ট’ করার অনুমতি দিক বলে দাবি তাদের। উভয় পক্ষের যুক্তি শোনার পর ২৮ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেন বিচারক সঞ্জয় গুপ্তা। নাবালক অভিযুক্তের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে ২৬ এপ্রিল। এদিন আদালতের বাইরে বিক্ষোভ দেখান মূল অভিযুক্ত সাঞ্জি রামের মেয়ে। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছেন তিনি। আরেক অভিযুক্ত স্পেশ্যাল পুলিশ অফিসার দীপক খাজুরিয়ার জানায়, “আমাকে প্রবল নির্যাতন করা হয়েছে। জোর করে অপরাধ স্বীকার করানো হয়েছে। আমি নির্দোষ, সিবিআই তদন্ত হলে সত্য সামনে আসবে। আমাদের নার্কো টেস্ট করা হোক।”

Advertisement

কাঠুয়া গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্তদের সমর্থন করার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির দুই মন্ত্রী চন্দ্র প্রকাশ গঙ্গা এবং লাল সিংয়ের বিরুদ্ধে। দু’জনেই পদত্যাগ করেছেন। রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ওই দুই পদত্যাগী মন্ত্রীর ইস্তফা গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, গত ১০ জানুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া গ্রাম থেকে আসিফাকে অপহরণ করে একদল দুষ্কৃতী। অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের মধ্যে ছিল স্থানীয় পুলিশকর্মীরাও। ছিল এক নাবালকও। দিনের পর দিন ধর্ষণ করে শেষে খুন করা হয় আট বছরের বালিকাকে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগ, মূল অভিযুক্ত সাঞ্জি রামের লক্ষ্য ছিল,  রাসসানা এলাকা থেকে বাখরেওয়াল সম্প্রদায়কে হটানো। আর তাই বাখরেওয়াল সম্প্রদায়ের আসিফাকে শিকার বানিয়ে বাকিদের মনে ভয় ধরাতে চেয়েছিল।

[অনলাইনে টিকিট কাটার আগে রেলের নয়া নিয়মগুলি জেনে রাখুন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ