সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘উহাদের খাদ্য কী?’
‘প্রধানত, কাঁটাঝোপ৷’
‘কাঁটা কি এরা বেছে খায়?’
‘না!’
সত্যজিৎ রায়ের ‘সোনার কেল্লা’ গল্পে ফেলুদা ও তাঁর সঙ্গী জটায়ুর এই মজার কথোপকথন প্রায় সবারই ঠোটস্থ৷কিন্তু ফেলুদা জানতেন না, কাঁটা বেছে না খেলেও মানুষ চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে পারে উট৷ তাও রাগের বশে৷ এমনই এক ভয়াবহ ঘটনায় মালিককেই চিবিয়ে খেয়েছে পোষা উট৷ শুধু খেয়েই ক্ষান্ত হয়নি সে মালিকের মাথাও পায়ের খুঁটের ঘায়ে থেঁথলেও দিয়েছে৷ এমনই কাণ্ড ঘটিয়েছে রাজস্থানের একটি উট৷
কী হয়েছিল?
থার্মোমিটারে পারদ ঘোরাফেরা করছে ৪৫ থেকে ৪৭ ডিগ্রির আশপাশে৷ প্রবল গরমের সঙ্গে গোদের উপর বিষফোঁড়া তীব্র জলকষ্ট৷ এর মধ্যেই পোষা উটের পায়ে দড়ি বেঁধে রোদে অনেক ক্ষণ দাঁড় করিয়ে রেখেছিল রাজস্থানের বারমেরের বাসিন্দা উজারাম৷ বাড়িতে আসা অতিথিদের মনোরঞ্জনের দায়িত্বও বর্তেছিল বেচারা উটের ঘাড়ে৷ মূক পশুর আর কাঁহাতক সহ্য হয়৷ এসপার-ওসপার করার সুযোগের অপেক্ষায় ছিল সে৷ ভাগ্যক্রমে সুযোগও এসে গেল৷ উটের পায়ের দড়ি খুলতে যেই না মালিক উজারাম এগিয়ে গিয়েছে, ওমনি উজারাম লাথি কষায় উটটি৷ লাথির চোটে শূন্য উঠে কয়েক কদম দূরে ছিটকে পরে উজারাম৷ এতেই ক্ষান্ত হয়নি উটটি৷ পায়ের খুঁটের আঘাতে মালিককের মাথাও ফাটিয়ে দেয়৷ তারপর উজারাম অচৈতন্য হয়ে পড়লেও রেহাই মেলেনি৷ উটটি তখন মালিককে রাগের বশে চিবিয়ে খায়৷ উটের অমন রুদ্রমূর্তি দেখে কাছে ঘেষতে সাহস পায়নি কেউ৷ পঁচিশ জন মিলে ঘণ্টা ছয়েকের চেষ্টায় বাগে আনে উটটিকে৷ তবে বাঁচানো যায়নি হতভাগ্য মালিক উজারামকে৷ গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বদরাগী উটটি এর আগেও উজারামকে আক্রমণ করেছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.