BREAKING NEWS

১০ চৈত্র  ১৪২৯  শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

‘ভারতে জন্মানো সকলেই হিন্দু, আমাকেও তাই বলতে পারেন’, মন্তব্য কেরলের রাজ্যপাল আরিফের

Published by: Kishore Ghosh |    Posted: January 29, 2023 7:04 pm|    Updated: January 29, 2023 7:04 pm

Kerala Governor Arif Mohammed Khan says,

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিন্দুকে বলে কেরলের রাজ্যপাল (Governor of Kerala) আরিফ মহম্মদ খান (Arif Mohammed Khan) সংবাদ শিরোনামে থাকতে ভালবাসেন। তিনি মুখ খুললেই বিতর্ক তৈরি হয়। এবার নিজেকে ‘হিন্দু’ বলে দাবি করলেন আরিফ। তবে তাঁর বক্তব্য, ‘হিন্দু’ শব্দের সঙ্গে ধর্মের যোগ নেই, বরং তা অনেক বেশি ভৌগোলিক। সেই যুক্তিতে ভারতে জন্মানো সকলেই হিন্দু, এই দাবিও করলেন কেরলের রাজ্যপাল।

রবিবার তিরুঅনন্তপুরমে (Thiruvananthapuram) হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। অনুষ্ঠানটি ছিল উত্তর আমেরিকায় বসবাসকারী কেরলের মালয়ালি হিন্দু সম্প্রদায়ের। সেখানেই নিজেকে ‘হিন্দু’ বলে ঘোষণা করলেন তিনি। এই বিষয়ে যুক্তি দিতে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aligarh Muslim University) প্রতিষ্ঠাতা স্যর সৈয়দ আহমেদ খানকে (Sir Syed Ahamed Khan)  উদ্ধৃত করেন আরিফ। বলেন, “আপনারা আমাকে হিন্দু বলতে পারেন।’’ যুক্তি দেন, যাঁরা ভারতের মাটিতে জন্মেছেন, এ দেশের উৎপন্ন হওয়া খাদ্য গ্রহণ করেছেন, এখানকার নদীর জল পান করেছেন, তাঁরা নিজেদের হিন্দু বলার অধিকারী।

[আরও পড়ুন: পাখির ধাক্কা, কলকাতাগামী বিমানের জরুরি অবতরণ লখনউতে, সমস্যায় যাত্রীরা]

এইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, ‘হিন্দু’ ধর্মীয় নয়, বরং একটি ভৌগলিক শব্দ। আরিফ প্রশ্ন তোলেন, “কেন আপনারা (আর্য সমাজের সদস্যরা) আমাকে হিন্দু বলেন না?” এইসঙ্গে জানান, ব্রিটিশরা ধর্মীয় বিভেদ তৈরি করতে হিন্দু, মুসলিম, শিখ-সহ নানা সম্প্রদায়ের তকমা দিয়েছিল প্রাক স্বাধীনতা যুগে। আরিফ মহম্মদ খান দাবি করেন, ঔপনিবেশিক ভারতে হিন্দু, মুসলিম, শিখ, এ ধরনের শব্দ প্রয়োগের ‘ঔচিত্য’ থাকলেও আজ আর নেই। আরিফ আরও দাবি করেন, তাঁর মতোই আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্যর সৈয়দ আহমেদ খানও এমনটা মনে করতেন। তিনিও নিজেকে হিন্দু বলেই মনে করতেন।

[আরও পড়ুন: সামনে মেয়ের বিয়ে, ধারের টাকা ফেরত দিন! চিঠি লিখে সস্ত্রীক আত্মহত্যা ব্যবসায়ীর]

এদিন কেরলের রাজ্যপাল আরও বলেন, স্বাধীনতার আগে সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী শাসকরা সমস্ত ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রতি উদারতা দেখিয়ে ছিল। ঠিক একইভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিবেশী দেশগুলিতে নিপীড়িত মানুষের জন্য দরজা খুলে দিয়েছেন। যাতে তাঁরা নিরাপদ আশ্রয় পেতে পারেন।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে