সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আতঙ্ক ছড়িয়েছে ‘নীল তিমির খেলা’। ইতিমধ্যেই তার শিকার বিদেশের বেশ কয়েকজন তরুণ, কিশোর। তার থাবার আঁচ মিলেছে এ দেশেও। কিন্তু এই নীল তিমি বা ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ বলে নাকি কিছুই নেই। ইন্টারনেট তোলপাড় করে ফেলেও, এরকম কোনও গেমের সন্ধান পায়নি পুলিশ। এরকমই দাবি কোচির ইন্সপেকটর জেনারেল অফ পুলিশ এবং সাইবার সিকিউরিটির নোডাল অফিসার মনোজ আব্রাহামের।
[জিমেই মহিলাকে লাথি-ঘুষি ট্রেনারের, ভাইরাল ভিডিও]
ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ পূর্ণ করতে গিয়ে প্রাণ খুইয়েছে বহু তরুণ। এরা সবাই আত্মহত্যা করেছে। গেম যারা পরিচালনা করছে, তাদের থেকে পাওয়া একের পর এক নির্দেশ মানতে গিয়ে শেষ হয়ে গেছে অনেকে। বিভিন্ন ঝুঁকির কাজ করতে হয় গেমারদের। সর্বশেষ যে নির্দেশটি আসে, তা হল নিজেকে শেষ করে দেওয়া বা আত্মহত্যা করা।
[বিকিনিতে সৈকতে উষ্ণতা ছড়ালেন আরও এক তারকা-কন্যা]
ইতিমধ্যেই কেরালায় ব্লু হোয়েল গেম খেলতে গিয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বা বলা ভাল, তারা আত্মহত্যা করেছে। একজন কান্নুড়ের বাসিন্দা, অপরজন তিরুঅনন্তপুরমের। দুটি মৃত্যুর কারণই এই মারণ খেলা বলে মনে করেছিলেন তদন্তকারীরা। তবে নতুন তত্ত্ব নিয়ে এসেছেন আব্রাহাম। তাঁর মতে এরকম কোনও নির্দেশকারীর সন্ধান মেলেনি যারা খেলাটাকে পরিচালনা করছে। তাই ব্লু চ্যালেঞ্জ নিতে গিয়ে ওই দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে মানতে নারাজ তিনি। কোচি পুলিশ সূত্রে খবর, ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে সন্ধান করেও, ব্লু হোয়েলস গেমের অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের খোঁজ পান নি। যারা গেমারদের মারণ নির্দেশিকা দিচ্ছে। তাই এমন কোনও চ্যালেঞ্জের অস্তিত্ব মানতে তাঁরা নারাজ।
[তেরো বছরের মেয়ের দেহ দান করলেন শিবপুরের দম্পতি]
যে সব তরুণ বা কিশোর আত্মহত্যা করছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তারা আসলে মানসিক অবসাদের শিকার। তারা আগে থেকেই আত্মহত্যাপ্রবণ ছিল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাই মানসিক অবসাদ থেকেই তাদের আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত বলে জানাচ্ছে কোচি পুলিশ। কারণ তাদের মোবাইল, ল্যাপটপ ঘেঁটেও এই গেমটির অস্তিত্ব মেলেনি। ফরেনসিক তদন্তের পরেও হদিশ মেলেনি ব্লু হোয়েল নামক গেমটির। সুতরাং আত্মহত্যার যে খবর ছড়িয়েছে, তা পুরোটাই ভুয়ো বলে দাবি কোচি প্রশাসনের শীর্ষ ওই পদাধিকারীর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.