সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষের মন এক গহন অরণ্য। বিচিত্র তার গতিপ্রকৃতি। জটিল তার যাত্রাপথ। সর্বদাই চলে আলো-আঁধারি খেলা। এই মনের নাগাল পেতে চেষ্টা করেছে মনোবিজ্ঞান। কিন্তু তার মূল কোথায়? ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট কে কে আগরওয়াল জানাচ্ছেন, গীতাই হল মনোবিজ্ঞানের মূল গ্রন্থ। এবং কৃষ্ণই প্রথম মনোবিদ বা কাউন্সেলর।
[ সেনার জন্য ১ শতাংশ কর নিক সরকার, আরজি অক্ষয়ের ]
এতদিনে আধুনিক মনোবিজ্ঞানের বিস্তর উন্নতি হয়েছে। জীবনযাত্রার ব্যস্ততা ও জটিলতা যত বেড়েছে তত বেড়েছে জীবনের প্রতি সংশয়। এর প্রভাব পড়েছে মনে। যার জন্য সাধারণ মানুষ দ্বারস্থ হয়েছেন মনোবিদের। উলটো দিকে মনোবিজ্ঞানের শিকড় খুঁজতে মনোবিদরা দ্বারস্থ হয়েছেন আকর গ্রন্থ গীতার। এমনটাই জানাচ্ছেন কে কে আগরওয়াল। তাঁর মতে, অ্যালোপ্যাথিতে যাকে বর্তমানে ‘কগনিটিভ বিহেভিরাল থিওরি’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়, তার মূল আছে গীতাতেই। এবং কৃষ্ণ, যিনি কিনা তুখড় রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত, তিনিই প্রথম সফল মনোবিদ। যখন যুদ্ধক্ষেত্রের ভয়াবহতা গ্রাস করেছে অর্জুনকে, তখন বিষাদাচ্ছন্ন অর্জুন কৃষ্ণের সকাশে হাজির হয়েছেন। কৃষ্ণ আঠেরো দফায় তাঁর কাউন্সেলিং করেছেন। অর্থাৎ গীতার অষ্টাদশ অধ্যায়কে আঠেরোরকমের কাউন্সেলিং হিসেবেই ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, সাইকোথেরাপি শব্দটিই যখন ছিল না, তখনও কিন্তু এই কাজ হয়েছে।
[ হিন্দুত্ব বাঁচাতে হিন্দুদেরই সংগঠিত হতে হবে, বলছে সমীক্ষা ]
ডাঃ আগরওয়ালের দৃঢ় বিশ্বাস কৃষ্ণই প্রথম ও সফল মনোবিদ। এবং একই সঙ্গে তিনি যুগান্তকারীও বটে। কেননা তিনি কেবল তাঁর রোগী বা অর্জুনের মনের গতিপ্রকৃতিই বদল করেননি, এমন পরামর্শ দিয়েছেন যা চিরকালীন একটি ভাষ্য হয়ে থেকেছে। পশ্চিমী বিজ্ঞানের সঙ্গে হয়তো গীতার বেশকিছু হেরফের পাওয়া যাবে। কিন্তু বিশেষ একটি পরিস্থিতি ও তার সমাধান যেভাবে মনোবিজ্ঞানের আলোকে করেছেন কৃষ্ণ, তাতে এই স্বীকৃতি দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই ডাঃ আগরওয়ালের।
[ এবার মুসলিমদের বাড়িতে তুলসী গাছ লাগানোর নিদান আরএসএসের ]