Advertisement
Advertisement

আজ শপথগ্রহণ কুমারস্বামীর, মঞ্চ থেকেই যাত্রা শুরু বিরোধী ঐক্যের!

মঙ্গলবারই বেঙ্গালুরু পৌঁছেছেন মমতা।

Kumarswamy to take oath todya, opposition unites from stage
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 23, 2018 8:52 am
  • Updated:June 22, 2022 2:37 pm

নন্দিতা রায়, বেঙ্গালুরু: কর্ণাটক থেকে শিক্ষা নিয়ে বিজেপিকে রুখতে এককাট্টা হওয়ার শপথ নিতে চলেছেন বিরোধী নেতারা। আর সেই লক্ষ্যে আজ কর্ণাটক নয়া মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হতে চলেছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেও সেই সুর। মমতার সূত্র মেনেই জাতীয় দল প্রয়োজনে আঞ্চলিক দলের নেতৃত্ব স্বীকার করে নেবে, কর্ণাটকের পরিস্থিতি সেই সত্যটাকেই প্রতিষ্ঠিত করেছে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, কর্নাটক থেকে দিল্লি, সর্বত্র এই ফর্মুলা মাথায় রেখে এগোতে চাইছেন বিরোধীরা।

mamata

Advertisement

[দিল্লির এইমস-কে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার তসলিমা নাসরিনের]

Advertisement

কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে মঙ্গলবারই বেঙ্গালুরু পৌঁছেছেন মমতা। বিমানবন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি জানান, বুধবারের অনুষ্ঠান বিরোধীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর্ণাটকের জনতাকে তাঁদের রায়ের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে মমতা বলেন, “আগামিকাল এক নতুন সরকার শপথ নিতে চলেছে। আমাকে আমন্ত্রণ করার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।” তিনি কুমারস্বামীর জন্য বিশ্ববাংলার উপহার নিয়ে এসেছেন। মমতার সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে দেখা করতে আসেন গায়ক কুমার শানু।

[তামিলনাড়ুতে আন্দোলনরত জনতার উপর পুলিশের গুলি, মৃত অন্তত ৯]

আজ,  শপথ মঞ্চ থেকেই একজোট হওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে। মমতার পাশাপাশি ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতী,  সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নরা অনুষ্ঠানে আসছেন। তুতিকোরিনে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য আসতে না পারলেও তাঁর মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছেন ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন। বুধবার থাকতে পারবেন না বলে মঙ্গলবারই ঘুরে গেলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও।

[ভোটে হেরে সরকার গড়া বিজেপির পুরনো অভ্যেস, বিজেপিকে কটাক্ষ ইয়েচুরির]

কর্ণাটকে কংগ্রেস ও জেডিএসের জোটের পক্ষে নির্বাচনের বহু আগে থেকেই সওয়াল করেছিলেন মমতা। বস্তুত তিনিই প্রথম এই জোটের কথা বলেন। মাস খানেক আগে সংসদে দলীয় দপ্তরে বসে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, বিজেপিকে আটকাতে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়া প্রয়োজন। সেজন্য বড় দলকে আঞ্চলিক দলগুলিকে গুরুত্ব দিতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তাঁর ইঙ্গিত ছিল কংগ্রেসের দিকে। কারণ, কংগ্রেস অনুকূল পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক দলগুলিকে পাত্তা দেয় না বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। তাদের যে এই মনোভাব ছাড়তে হবে, আকারে-ইঙ্গিতে সেই পরামর্শই দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। কর্ণাটকে নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতিতে কিন্তু রাহুল সেই পথই নিয়েছেন।

[রাজনীতিতে প্রথম স্ত্রীকেই অগ্রাধিকার কুমারস্বামীর, রামনগরে জেডিএস প্রার্থী অনিতা]

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য বিধানসভা চত্বরে দু’টি মঞ্চ তৈরি হয়েছে। একটিতে শপথ নেওয়া হবে। অন্যটিতে থাকবেন মমতা, সোনিয়া, রাহুলরা। মঙ্গলবার কুমারস্বামী বলেছেন, “রাজ্যের মানুষ আমাকে বা আমার দলকে শাসন করার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেননি। কিন্তু ঈশ্বরের কৃপায় ও বাবা-মায়ের আশীর্বাদে ফের তাঁদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। আশা করি, জোট সরকার সুষ্ঠুভাবেই কাজ করবে।” ইতিমধ্যেই তিনি শৃঙ্গেরির সারদা মন্দির ও আদি শঙ্করাচার্যের প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণামান্য পীঠে পুজো দিয়েছেন। ধর্মস্থলে প্রসিদ্ধ মঞ্জুনাথস্বামী মন্দিরেও পুজো দেন কুমারস্বামী। জেডিএস ও কংগ্রেস নেতৃত্ব কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ। তাই দু’দলের বিধায়করা আপাতত হোটেলেই বন্দি। বৃহস্পতিবার আস্থা ভোটের পর তাঁরা বাড়ি ফেরার অনুমতি পাবেন। বিমানবন্দরের কাছে একটি পাঁচতারা হোটেলে রয়েছেন তাঁরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ