Advertisement
Advertisement

Breaking News

Over 1000 schools up for sale across India in COVID efrect

মহামারীর কোপে মিলছে না ফি, দেশজুড়ে ‘বিক্রির’ পথে এক হাজার স্কুল!

মহামারীর কোপে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা!

Latest Education news in Bengali: Over 1,000 schools up for sale across India in COVID efrect | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:September 19, 2020 11:42 am
  • Updated:September 19, 2020 2:19 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Corona Virus) কোপ এবার শিক্ষাক্ষেত্রে। বিক্রি হয়ে যেতে পারে দেশের এক হাজারটি স্কুল (School)। স্কুলগুলিকে বাঁচাতে কমপক্ষে সাড়ে সাত হাজার কোটির বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে। মহামারীর কোপে বন্ধ ক্লাস। স্কুলের বেতন মেটাতে অপারগ বেশিরভাগ অভিভাবক। ফলে স্কুলের খরচ-খরচা, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অন্যান্য কর্মচারীদের বেতনও মেটানো যাচ্ছে না। কোথাও কোথাও তো স্কুলের মালিকদের গাঁটের কড়ি খরচ করে স্কুল চালাতে হচ্ছে। এই খরচ চালাতে না পেরেই স্কুলের মালিকানা হস্তান্তরের পথে হাঁটছেন মালিকদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে সেই সমস্ত স্কুলের পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তাঁদের পরিবার। 

Cerestra Ventures-এর সমীক্ষা বলছে, দেশের ৮০ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন বেসরকারি গোষ্ঠীর বিনিয়োগে তৈরি,  যাঁদের বার্ষিক ফি ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা। স্কুলগুলিতে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। সেই অনুপাতে শিক্ষিক-শিক্ষিকা ও শিক্ষা-অশিক্ষা কর্মী রয়েছেন। মহামারীর কোপে গত মার্চ মাস থেকে সম্পূর্ণ বন্ধ স্কুল। কোথাও কোথাও অনলাইন ক্লাস চলছে। কিন্তু স্কুল ফি মেটাতে পারছেন না বহু অভিভাবক। কোনও কোনও রাজ্য সরকার মহামারী আবহে বেসরকারি স্কুলগুলি কত ফি নিতে পারবে, তা বেঁধে দিয়েছে। ফলে স্কুলের আয়ে টান পড়েছে। মালিকদের নিজের পকেট থেকে স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন মেটাতে হচ্ছে। সূত্রের খবর, এরকম এক বহুজাতিক সংস্থার স্কুলে অশিক্ষক কর্মীদের বেতন ৭০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : ভূস্বর্গে ফের সাফল্য নিরাপত্তারক্ষীদের, প্রচুর অস্ত্র-সহ ধৃত ৩ লস্কর জঙ্গি]

এরকমই এক স্কুল চেইনের অংশীদার বিশাল গোয়েল জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। কবে থেকে স্কুল আবার চালু করা যাবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফলে স্কুলের ফান্ডিং জোগার করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। ঋণ পাওয়াও কঠিন হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, দেশজুড়ে তাঁদের ৩০-৪০টি স্কুল রয়েছে। সেগুলিকে চালাতে এখন ১৪০০ কোটি টাকা প্রয়োজন রয়েছে। স্কুলগুলিতে সাধারণত যাঁরা বিনিয়োগ করেন, তাঁদের অন্যান্য ব্যবসা থাকে। সেই অর্থই স্কুল চালাতে বিনিয়োগ হয়। মহামারীর দাপটে সমস্ত ব্যবসাই মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগ করতে চাইছেন না। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা ও কর্ণাটকে ২০-২৫টি স্কুল বিক্রির জন্য ক্রেতা খুঁজতে শুরু করেছেন মালিকরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন : ‘পাড়ার আন্টির মতো দেখতে বলেই আমাকে নিয়ে এত রসিকতা’, বিরোধীদের তোপ নির্মলার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ