সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে সুপ্রিম কোর্ট-কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর দ্বন্দ্ব। শনিবার কেন্দ্রকে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে শীর্ষ আদালতের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল। কেউ কেউ অভিযোগ করেছিলেন, কেন্দ্রকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই ইস্যুতে এবার নাম না করে শীর্ষ আদালতের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তাঁর কথায়, “এই দেশে যদিও কেউ মালিক হয়ে থাকে তাহলে সেটা জনতা। আমরা সকলে তাঁদের সেবক। কেউ কাউকে হুঁশিয়ারি দিতে পারে না।”
এলাহাবাদ হাই কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের ১৫০ বছর উপলক্ষে রবিবার প্রয়াগরাজে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কিরেণ রিজিজু (Kiran Rijiju)। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট ও হাই কোর্টের বিচারপতিরা। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টকে নিশানা করেন তিনি। রিজিজুর কথায়, আমি আজ সংবাদমাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদন দেখলাম, যেখানে বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছে। কিন্তু এখানে কেউ কাউকে হুঁশিয়ারি দিতে পারে না। কারণ এদেশে মালিক একমাত্র জনতা। আমরা সকলে তাঁদের সেবক। আমাদের একমাত্র পথপ্রদর্শক সংবিধান। সংবিধান মেনে মানুষ যেভাবে চাইবে সেভাবেই দেশ চলবে। এই দেশকে সেবা করার সুযোগ পেয়ে আমরা সৌভাগ্য়বান।” পরিশেষে তিনি আরও বলেন, “দেশের অন্দরে বিচারব্যবস্থার সঙ্গে আইনসভার কোনও দ্বন্দ্ব নেই।”
#WATCH | I saw a media report today that stated- Supreme Court has given a warning…The Indian Constitution is our guide. No one can give a warning to anyone: Union Law Minister Kiren Rijiju in Prayagraj, UP pic.twitter.com/oyoDfzLzIS
— ANI (@ANI) February 4, 2023
[আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম ছেড়ে কাঁথিতে শুভেন্দু, লোকসভা ভোটের জন্য তৈরি বিজেপির ব্লুপ্রিন্ট!]
বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্র সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের দ্বন্দ্বে ধুনো দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে (DY Chandrachud) চিঠি লিখে তিনি দাবি করেন, বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়ায় সরকারি প্রতিনিধিদেরও শামিল করতে হবে। বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের অধিকার দিতে হবে সরকারের প্রতিনিধিদের। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে বিচারব্যবস্থার জন্য বিষের সমান বলে অভিযোগ করে কংগ্রেস। তৃণমূলও চড়া সুরে কেন্দ্রের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে। বিরোধীদের লাগাতার আক্রমণের মাঝে ৫ বিচারপতির নামে সম্মতি দিয়ে বিতর্কে ইতি টানার বার্তাই দিল মোদি সরকার। সেই নামে চূড়ান্ত সিলমোহর দিয়েছেন রাষ্ট্রপতিও।