দীপঙ্কর মণ্ডল: ঐচ্ছিক হয়ে গেল আইসিএসই (ICSE) ও আইএসসি-র (ISC) স্থগিত থাকা পরীক্ষা। ২২ জুনের মধ্যে স্কুলে গিয়ে জানাতে হবে কোনও পড়ুয়া পরীক্ষা দিতে চায় কিনা। এক্ষেত্রে কেউ চাইলে পরীক্ষায় বসতেও পারে, আবার কেউ নাও বসতে পারে। পরীক্ষায় না বসলে ‘প্রি বোর্ড’-এ পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতে মার্কশিট দেবে কর্তৃপক্ষ।
মহারাষ্ট্রের এক ব্যক্তি বম্বে হাই কোর্টে দায়ের করা মামলায় দাবি তোলেন, যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে স্থগিত থাকা আইসিএসই ও আইএসসির পরীক্ষা না নিয়ে প্রি বোর্ডের অ্যাসেসমেন্টের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীদের নম্বর দেওয়া হোক। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এগজামিনেশন (CISCE) বম্বে হাইকোর্টের কাছে প্রস্তাব পেশ করে জানায়, কোনও পড়ুয়া চাইলে পরীক্ষা দিতে পারে অথবা নাও দিতে পারে। ২২ জুনের মধ্যে স্কুলে নিজেদের ইচ্ছার কথা জানাতে হবে। তার আগে ১৭ জুন এই মামলার দ্বিতীয় শুনানি হবে বম্বে হাইকোর্টে।
[আরও পড়ুন: হ্যান্ড স্যানিটাইজারেই লুকিয়ে ভয়ংকর বিপদ, আশঙ্কার কথা শোনাল CBI]
আইসিএসই (ICSE) স্কুলগুলির সর্বভারতীয় সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক নবারুণ দে জানিয়েছেন, “আমরা বম্বে হাইকোর্টকে শুধুমাত্র প্রস্তাব দিয়েছি। আদালত এখনও এই সিদ্ধান্তে অনুমতি দেয়নি। আমি বলব, এই প্রস্তাব অত্যন্ত ভাল। কারণ কোনও ছাত্র বা ছাত্রী চাইলে সে এসে স্কুলে পরীক্ষা দিতে পারবে। আবার কেউ যদি না চায়, সে আসবে না। আমরা কথা দিচ্ছি, স্কুলে আমরা সুস্থ পরিবেশ রাখব।”
করোনা সংক্রমণ এড়াতে পরীক্ষা স্থগিত করেছিল CISCE। পরে ঘোষণা করা হয়, জুলাই মাসেই আইসিএসই এবং আইএসসি’র বাকি পরীক্ষাগুলি নেওয়া হবে। CISCE কর্তৃপক্ষ এদিন জানিয়েছে, যে পরীক্ষা দিতে চায় অথবা যে দিতে চায় না – উভয়পক্ষকেই লিখিতভাবে নিজেদের ইচ্ছার কথা স্কুলে জানাতে হবে।
[আরও পড়ুন: নিম-হলুদের মতো ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি হচ্ছে ত্রিস্তরীয় মাস্ক, সৌজন্যে পুণের ডিফেন্স ল্যাব]
২ জুলাই থেকে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে আইসিএসই ২০২০-র দশম শ্রেণির স্থগিত পরীক্ষা হওয়ার কথা। আইএসসি দ্বাদশ শ্রেণির বাকি পরীক্ষাগুলি নেওয়া হবে ১ জুলাই থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে। পরবর্তী শুনানিতে বম্বে হাইকোর্ট কী নির্দেশ দেয়, সেদিকে তাকিয়ে সব পক্ষ। রাজ্যেও স্থগিত রয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। ২, ৬ এবং ৮ জুলাই – এই তিনদিন উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলি হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই দাবি উঠেছে, CISCE-র ধাঁচে পদক্ষেপ করুক উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।