Advertisement
Advertisement
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা! জ্যোতিরাদিত্যর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগের পুনর্তদন্ত শুরু

২০১৮ সালে প্রমাণের অভাবে তদন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

Madhya Pradesh EOW reopens forgery case against Jyotiraditya Scindia

ফাইল ফটো

Published by: Paramita Paul
  • Posted:March 13, 2020 12:33 pm
  • Updated:March 13, 2020 12:33 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই বিপাকে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাঁর বিরুদ্ধে পুরানো এক জালিয়াতির অভিযোগের নতুন করে তদন্ত শুরু করল মধ্যপ্রদেশের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা (Madhya Pradesh Economic Offences Wing or EOW) । অভিযোগ, ভুয়ো নথি দিয়ে জমি বিক্রি করেছিলেন জ্যোতিরাদিত্য ও তাঁর পরিবার। ২০১৪ সালে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাঁর সঙ্গে আরও ২২ জন বিধায়ক রয়েছেন বলে খবর। তাঁরাও বিজেপিতে যোগ দিলে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের কমলনাথ সরকারের টালমাটাল পরিস্থিতি হবে। এমন পরিস্থিতিতে এই অভিযোগের তদন্ত শুরু হওয়ার পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছেন ওয়াকিবহাল মহল। জ্যোতিরাদিত্য ঘনিষ্ঠমহলের অভিযোগ, স্রেফ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এই মামলার তদন্ত শুরু করছে কমলনাথ সরকার।

Advertisement

[আরও পড়ুন : উন্নাও মামলা: নির্যাতিতার বাবাকে খুনের দায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড কুলদীপ-সহ সাতজনের]

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সিন্ধিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নতুন করে জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘২০০৯ সালে সুরেন্দ্র শ্রীবাস্তবের সঙ্গে সিন্ধিয়া পরিবারের জমি বিক্রি সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়। সেই চুক্তি ভেঙে ৬০০০ বর্গফুট কম জমি দেওয়া হয়েছে তাঁকে।’ এমনকী সিন্ধিয়ার পরিবার জমির ভুয়ো রেজিস্ট্রি সার্টিফিকেটও দাখিল করেছিল বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় সুরেন্দ্র ২০১৪ সালের ২৬ মার্চ প্রথম অভিযোগ দায়ের করেন। সেই সময় তদন্ত হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে তদন্ত বন্ধও হয়ে যায়। মধ্যপ্রদেশের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখার তরফে জানানো হয়েছে, সুরেন্দ্র বৃহস্পতিবার নতুন করে অভিযোগ দায়ের করে। সুরেন্দ্র শ্রীবাস্তবের দায়ের করা অভিযোগের তথ্য নতুন করে যাচাই করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : করোনার প্রকোপ ওষুধের বাজারেও, আকাশছোঁয়া দামে নাকাল হবে মধ্যবিত্ত]

তবে এই ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেছেন জ্যোতিরাদিত্য ঘনিষ্ঠ পঙ্কজ চতুর্বেদী। তাঁর কথায়, প্রমাণের অভাবে সেইসময় মামলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। স্রেফ হয়রান করতেই নতুন করে তদন্ত শুরু করা হচ্ছে। আইনের উপর সম্পূর্ণ ভরসা আছে। কমলনাথের সরকারের মুখের উপর জবাব দিয়ে আমরা সুবিচার পাব।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ