Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘জঙ্গি নয়, এবার থেকে মাদ্রাসায় তৈরি হবে দেশপ্রেমিক’, উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক

কেন্দ্রের শিক্ষানীতি অনুযায়ী বদলে যাবে মাদ্রাসার পাঠক্রম, জানিয়েছেন মন্ত্রী।

Madrassas to now teach nationalism, not terrorism UP minister's controversial comments | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:April 3, 2022 4:47 pm
  • Updated:April 4, 2022 10:04 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের শিক্ষানীতি অনুযায়ী বদলানো হবে মাদ্রাসার (Madrasa) পাঠক্রম। এরপর থেকে উগ্রপন্থা নয়, জাতীয়তাবাদ তথা দেশপ্রেমের শিক্ষা দেবে মাদ্রাসাগুলি। এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সংখ্যালঘু মন্ত্রী ধরমপাল সিং (Dharampal Singh)। বিরোধীরা বলছেন, স্বয়ং সংখ্যালঘু মন্ত্রী যেভাবে মাদ্রাসা শিক্ষাকে আক্রমণ করলেন তা দুর্ভাগ্যজনক। মাদ্রাসাকে উগ্রপন্থার আঁতুড় ঘর হিসেবে দেগে দিলেন মন্ত্রী।

শনিবার বরেলির ভেটারনারি রিসার্চ ইউনিটে সাংবাদিক সম্মেলনে ধরমপাল সিং জানান, কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতি অনুযায়ী মাদ্রাসার পাঠক্রমে বদল আনা হচ্ছে। তিনি বলেন, “নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুযায়ী তৈরি করা হবে মাদ্রাসার পাঠক্রম। জাতীয়তাবাদের পাঠ দেওয়া হবে ছাত্রদের। সেখানে উগ্রপন্থার প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হবে না।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজস্থানের কারৌলিতে সাম্প্রদায়িক অশান্তি, জারি কারফিউ, বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবাও]

রাজ্যের সংখ্যালঘু মন্ত্রী জানান, এছাড়াও মাদ্রাসাগুলিতে ছাত্রদের কর্মমুখী শিক্ষা দেওয়ার কথাও ভাবা হয়েছে। এইসঙ্গে মন্ত্রী জানান, যোগী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বেআইনি ওয়াকফ সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করা হবে, ওই জমি ও সম্পত্তি সংখ্যালঘু উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, মাদ্রাসা নিয়ে ক’ দিন আগেই চরম বিতর্কিত মন্তব্য করেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাইয়ের (Basavaraj Bommai) রাজনৈতিক সচিব তথা বিধায়ক রেণুকাচার্য (Renukacharya)। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করেন যে অবিলম্বে মাদ্রাসাগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। রেণুকাচার্যের মন্তব্য ছিল, “কংগ্রেসের কাছে আমার প্রশ্ন, স্কুল থাকতে মাদ্রাসার কী প্রয়োজন? ওরা কী প্রচার করে মাদ্রাসায়? ওরা নিষ্পাপ শিশুদের উসকানি দেয়। এরাই ভবিষ্যতে দেশবিরোধী কাজ করে। এরা কোনওদিন ভারত মাতা কি জয় বলবে না।”

[আরও পড়ুন: ভূত ছাড়ানোর নামে মারধর, জ্বলন্ত ধূপকাঠি দিয়ে কিশোরীকে ছ্যাঁকা মৌলানার]

উল্লেখ্য, কর্ণাটকের এই বিধায়ক রেণুকাচার্য আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, নিজের দুই সন্তানের জন্য জাল জাতিগত শংসাপত্র পেশ করার। এবং তাদের অসৎ উপায়ে সরকারি সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার। মাদ্রাসা নিয়ে মন্তব্যে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত করার দাবি জানিয়েছিল বিরোধীরা। তিনি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ