Advertisement
Advertisement

Breaking News

জলে ডুবে মৃত শিশু

টিভিতে সুজিতকে উদ্ধারের দৃশ্য দেখতে ব্যস্ত দম্পতি, গামলায় ডুবে মৃত শিশুকন্যা

বাবা ও মায়ের উদাসীনতার জন্য এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে, আক্ষেপ প্রতিবেশীদের।

Toddler drowns while parents watch rescue operation of Sujith on TV

ছবি: প্রতীকী

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:October 29, 2019 6:51 pm
  • Updated:October 29, 2019 6:53 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিচির দুবছরের শিশু সুজিতকে উদ্ধার করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন এনডিআরএফের সদস্য। টিভিতে এই দৃশ্য দেখতে দেখতে শিউরে উঠছিলেন তামিলনাড়ুর থরেসপুরম গ্রামের এক দম্পতি। সব কাজের ফাঁকে নজর রাখছিলেন পরিস্থিতির দিকে। মনে মনে প্রার্থনা করছিলেন শিশুটির যাতে প্রাণ রক্ষা হয় তারজন্য। কিন্তু, অলক্ষ্যে যে নিয়তি তাঁদের জীবন নিয়েই জুয়ো খেলছে তা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি তাঁরা। কোনওভাবেই খেয়াল করেননি নিজেদের দু’বছরের শিশুকন্যা স্নানের জন্য রাখা জলের গামলায় ডুবে গিয়েছে। ঘটনাটি তাঁদের চোখে পড়ার পর তড়িগড়ি শিশুটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

[আরও পড়ুন: পুলওয়ামার স্কুলে ফের জঙ্গি হামলা, সিআরপিএফকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হল গুলি]

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন জেলার উপকূলবর্তী এলাকা থরেসপুরম গ্রামে বসবাস করেন পেশায় মৎস্যজীবী লিঙ্গেশরন ও তাঁর স্ত্রী নিশা। পরিবারে অভাব-অনটন থাকলেও দু’বছরের মেয়ে রেবতী সঞ্জনাকে নিয়ে বেশ সুখেই সংসার করছিলেন তাঁরা। কিন্তু, সোমবার রাতে সামান্য ভুলের জন্য একমাত্র সন্তানের মৃত্যু হল। আসলে গত শুক্রবার ত্রিচির ছোট্ট সুজিতের কুয়োয় পড়ে যাওয়ার খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন ওই দম্পতি। গোটা দেশের মানুষের মতো তাঁরাও ভগবানের কাছে সুজিতের জীবন রক্ষার প্রার্থনা করছিলেন। সোমবার রাতে সুজিতের উদ্ধার কাজের লাইভ ভিডিও টিভিতে দেখানো শুরু হয়। আর সমস্ত কাজ ফেলে টিভির সামনে বসে পড়েন ওই দম্পতি। সুজিতের উদ্ধার দৃশ্য দেখতে দেখতে এতটাই মগ্ন হয়ে পড়েন যে নিজেদের ছোট্ট মেয়ে কখন বাথরুমে ঢুকে পড়েছে তা খেয়ালই করেননি তাঁরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন:‘বিজ্ঞান না মেনে অযথা পরিশ্রম হয়েছে’, তামিলনাড়ুর শিশুমৃত্যুতে অভিযোগ এপিজে কালামের পরামর্শদাতার]

কিছুক্ষণ বাদে আচমকা লিঙ্গেশরন দেখেন তাঁদের মেয়ে ঘরে নেই। এরপর আচমকা বাথরুমে ঢুকে দেখেন সেখানে থাকা জলের গামলা থেকে রেবতীর হাত বেরিয়ে আছে। আর ওই গামলার জলে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে সে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে যান লিঙ্গেশরন ও তাঁর স্ত্রী। কিন্তু, সেখানকার ডাক্তাররা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ